লালমোহনে দুই সন্তানের জননী উধাও, দিশেহারা স্বামী

 

নুরুল আমিন :

লালমোহনে দুই সন্তানের জননী উধাও হয়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বামী। উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের হাকিম আলী রাঢ়ীর পুত্র মোঃ মহসীনের সাথে লালমোহন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের মোঃ হারুনের মেয়ে আয়েশা আক্তার লাভলীর ১২/১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের আব্দুল্লাহ আল জিদান ফাতেমা বেগম এশা নামে পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে মহসীন কুমিল্লায় গাড়ি চালায়। সে সেখানেই থাকে। স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে থাকে। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্ত্রী লাভলী বেপরোয়া চলাফেরা করে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের সাথে মোবাইলে কথা বলতো বলে জানান হতভাগ্য স্বামী মহসীন। উক্ত বিষয়ে মহসীন তার স্ত্রীর পিতা-মাতা ও ভাইদের জানালে তারা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে দেয় এবং লাভলী আর বেপরোয়া চলাফেরা করবে না ও মোবাইলে বাহিরের কোন লোকজনের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়ে দেয়। পরে পূণরায় মহসীন তার স্ত্রী লাভলী ও সন্তান জিদানকে বাড়িতে রেখে জীবিকা নির্বাহের জন্য কুমিল্লায় গাড়ি চালাতে যায়। গত ১৩/০৬/২০২০ইং তারিখে লাভলীর বড় ভাই মোঃ মিরাজ মোবাইলে মহসীনকে জানায়, লাভলী বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মেয়ে এশাকে নিয়ে ১২/০৬/২০২০ইং তারিখে সকাল অনুমান দশটার দিকে লালমোহন যায়। পরবর্তীতে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এ খবর পেয়ে মিরাজ দ্রুত বাড়িতে চলে আসে এবং ঘরে ঢুকে দেখে তার স্ত্রী লাভলীর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার নেই। অনেক খোজাখুজির পরে মহসীন তার স্ত্রী লাভলী ও মেয়ে এশাকে খুঁজে পায়নি। এদিকে লাভলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে নিরুপায় হয়ে মহসীন বাদী হয়ে লালমোহন থানায় থানায় উক্ত বিষয়ে ২৪/০৬/২০২০ইং তারিখে একটি সাধারণ ডাইরি করে। মহসীন জানায়, আমার স্ত্রীর বয়স অনুমান তিরিশ বছর, উচ্চতা ৫ফুট ১ইঞ্চি হবে, গায়ের রং ফর্সা মুখমণ্ডল গোলাকার, পরনে কামিজ, গায়ে বোরকা ও মাথায় হিজাব ছিল। মেয়ের বয়স অনুমান পাঁচ বছর, উচ্চতা ৩ফুট ২ইঞ্চি হবে, গায়ের রং ফর্সা, মুখমণ্ডল গোলাকার, পরনে ফ্রক ও হাফ প্যান্ট ছিল। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি তাদের খোঁজ পেলে লালমোহন থানায় অথবা তার বাড়ির ঠিকানায় জানাবার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে না পেয়ে মহসীন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

SHARE