মোঃ ইমরান হুসাইন মুন্নাঃঃ–
ভোলায় নতুন বাজার হকার্স সমিতি সদস্যদের জমাকৃত প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং টাকা চেয়ে প্রতিবাদ করায় রানা নামের এক সদস্যের উপর হামলা করতে গিয়ে স্থানীয়দের গনধোলাইয়ের স্বীকার হয়েছে বলে সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল আহাদ সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বুহঃবার বিকেল ৫ টায় ভোলা সদর উপজেলার নতুন বাজার টাউন হলের সামনে রানাকে মারধর এবং রাত ৯টায় পাখির পোলে সুমনকে গনধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে।
সমিতির সদস্য আহত রানা এবং সদস্যরা জানায়, তারা নতুন বাজার হকার্স সমিতির সদস্য। তারা জীবন জীবিকার তাগিদে নতুন বাজার হকার্স ব্যাবসা করে আসছে। কয়েক বছর পূর্ব থেকে সুমন হকার্সদের কাছ থেকে সমিতির নামে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ব্যাবসা করতে দেওয়া হবেনা বলে হকার্সরা বাধ্য হয়ে সমিতির নামে হকার্স সমিতির সাধারন সম্পাদক সুমনকে চাঁদা দেয়। বিভিন্ন দুর্নিতির কারনে সমিতি ভেঙ্গে গেলে সদস্যরা সমিতি থেকে তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চায়। কিন্তু সমিতির সম্পাদক সুমন তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে বেরায়। বিষয়টি নিয়ে সমিতির সদস্য আবদুর রহমান রানা প্রতিবাদ করলে ঘটনার দিন বিকালে সুমন তাকে ডেকে নিয়ে ভোলা টাউন হলের সামনে ইজারাদার ইয়ামিন মিয়া এবং শতজনতার উপস্থিতিতে ফ্লিমি স্টাইলে মোটর সাইকেলের চেইন দিয়ে রানার মাথায় প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে তাকে পিটিয়ে রক্ত জখম করে। পরে বাজারের স্থানীয়রা রানাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পৌছে দেয়। এতেও সুমন ক্ষান্ত না হয়ে ঐদিন রাত প্রায় ৯ টার সময় সুমন আবারো পাখিরপোল রানার বাসার সামনে গেলে রানার সাথে দেখা হলে সুমন তার কোমরে থাকা ধারালো ছুরি বের করে কোপানের উদ্দ্যেশে চারদিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মুন নামের একটি ছেলের হাতে এবং বুকে ছুরির কোপ লেগে মারাক্তক আহত হয়। একপর্যায় স্থানীয়রা ঝুকি নিয়ে সুমনের সাথে ধস্তাধস্তি করে সুমনের ছুরি ধরে ফেলে এবং স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে সুমনকে গনধোলাই দেয়।
ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিরোধে এসপি সাহেবের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। বিষয়টির অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।