ভোলায় এর আগেও রুগী হত্যা করেছে ডাঃ ফরহাদ

 

মনজু ইসলাম/টিপু সুলতানঃ

ডাক্তার ফরহাদকে এর আগে ইনজেকশন দিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে শাহাবাজপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয়া হলেও তার হত্যার বিচার না করার জন্য আজ আবার বলি হতে হলো ভোলার সকলের প্রিয় এই মানুষটিকে।

শাহাবাজ পুর জেনারেল হাসপাতালের সেই সময় কর্মরত এক নারী কর্মকর্তা বলেন, ডা. ফরহাদকে আমরা পাগলা ডাক্তার হিসেবেই চিনি। নিজে ইনজেকশন লিখে আর স্ত্রীকে দিয় তা পুশ করায়। আর এ কারনেই এর আগে একাদিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শাহাবাজপুর হাসপাতাল থেকে তাকে সরিয়ে দিলেও কয়েক দিন পর তার স্ত্রীসহ তাকে আবার ডেকে নিয়ে এসেছেন। রফিক স্যার হত্যার বিচার না হলে এই পাগলা ডাক্তার ফরহাদ আরো অনেক রুগী মেরে ফেলবে।

ভোলার যুগান্তর প্রতিনিধি এম হেলাল উদ্দিন ডাক্তার ফরহাদের কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে তাকে একই ঔষধ একাদিকবার ও অনেক গুলো ঔষধ লেখার কারণ জানতে চাইলে ডাক্তার ফরহাদ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিনের উপর ক্ষেপে যান।

এই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় হত্যা হতে হলো ভোলার সকলের প্রিয় রফিক স্যারকে। ভুল চিকিৎসায় গত এক মাসে ১৪ শ টাকা দামের ৪০ টি ইনজ্যাকশন দিয়েছেন রফিক স্যারের দেহে। ইনজ্যাকশনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় হার্ট এ্যাটাক হতে পারে রফিক স্যারের। এমনটাই জানিয়েছেন অন্য ডাক্তাররা।
বরিশাল থেকে এসে ভোলায় বাসা ভাড়া করে সে তার স্ত্রী ভোলার কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল সার্ভিসে বসেন তার স্ত্রী ও ডাক্তার ফরহাদ। ডাক্তার ফরহাদ হোসেনের খেশারতে আজ ভোলা নিউজের প্রধান সম্পাদক, শিক্ষক নেতা, পশ্চিম বাপ্তা আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ্য ভোলা মেডিকাল সাইন্স এন্ড টেকনোলজির পরিচালক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ডাক্তার ফরহাদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বাপ্তার চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লাহ। ভোলার জেলা প্রশাসক ও বিচার বিভাগের কাছে তার এলাকার জনপ্রিয় অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের হত্যার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবীও জানান তিনি।

ছবি ঃ জিএম সানাউল্লাহ

 

SHARE