আমজাদ হোসেন#
ভোলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে বোরাক এক্সিডেন্ট ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রতিপক্ষ কর্তৃক মারপিট করা হয়েছে বলে সাহিদা নামের এক ব্যাক্তি সদর হাসপাতালে ২য় বার ভর্তি হয়েছে বলে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি অভিযোগ করেছেন। সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রতনপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানায়, মোঃ আলমগীরদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত তাদের জমিজমা নিয়ে দন্দ চলছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় মে মাসের ২০ তারিখ দুপুরে স্থানীয় মোঃ হান্নান, হাসনাইন, সুমন, রাবেয়াসহ শাহিদা আক্তার প্বার্শবর্তী রফিকুল ইসলামের দখলীয় জমি থেকে ছোট ছোট গাছ উঠাইয়া ফেলতেছিলো। রফিকুল ইসলাম মসজিদ থেকে এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ উঠানোর কারন জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায় উল্লেখ্যিতরা রফিকুল ইসলামকে চর থাপ্পর মারে। রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে উল্লেখ্যিতদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে এএসআই আরিফুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে উভয় পক্ষকে ঘটনার সত্যতা এবং প্রয়োজনে মিমাংসার জন্য ডাকলে উল্লেখ্যিতরা পুলিশের ডাককে তোয়াক্কা না করে থানায় হাজির হন নাই। হাজির না হওয়ায় এক পর্যায় ঘটনাটি পুরোপুরি আইনি প্রকিয়ায় রুপ নেয়। অপরদিকে ২৬ তারিখে আমলগীরের স্ত্রী সাহিদা আক্তার ভেদুরিয়া জামাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলে পথিমধ্যে যুগিল ঘোল নামক এলাকায় পৌছলে তার বাহনকৃত অটো বোরাকটি দুর্ঘটনার করলে পরে। এতে শাহিদা আক্তার মারাক্তক রক্ত জখম হয়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় সে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরে তাদের (সাহিদা) বিরুদ্ধে ২০ মে তারিখের ঘটনায় মামলা হয়েছে যেনে সে পূর্ণরায় ৩১ মে তারিখে ঐ পুরনো ক্ষত নিয়ে প্রতিপক্ষরা হামলা করেছে বলে সে আবারো হাসপাতালে ভর্তি হয়।
অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতাল রেজিষ্টার খাতা অনুযায়ী দেখা গেছে, হাসপাতার রেজিস্টার খাতায় চলতি বছরের ২৬ মে ৩৭ নম্বর সিরিয়ালে ডাঃ মুমিনের তত্বাবধায়নে শিবপুর ৭নং ওয়ার্ডের আলমগিরের স্ত্রী সাহিদা আক্তার রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্টে (RTA) ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলো। এর পর প্রথম ভর্তির ৫ দিন পর অর্থাৎ ৩১ মে একই নাম ও ঠিকানার সাহিদা আক্তার হাসপাতালে পুলিশ ফাইলে (শারিরিক নির্যাতন সম্পৃক্ত) ভর্তি হয়ে ৬৯ নং সিটে চিকিৎসা নিয়েছে।
স্থানীয়ারা জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ মে আলমগিরের স্ত্রীর বা তাদের গ্রুপের লোকদের সাথে রফিকুল ইসলাম গ্রুপের লোকজনের সাথে কোন ধরনের মারা মারি বা হাতাহাতি এমনকি কথা কাটাকাটিও হয়নাই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বোরাক এক্সিডেন্টের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানায়, রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মোঃ হান্নান, হাসনাইন, সুমন, রাবেয়াসহ শাহিদা আক্তারের বিরুদ্ধে গাছ উত্তোলনসহ শারিরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টির ব্যাপারে এএসআই আরিফকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।