মোঃ আজাদ রানা লালমোহন প্রতিনিধিঃ
লালমোহনে সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবী করল কথিক হোন্ডা নেতা নাম তার আলী আকবর সম্রাট। নিজেকে লালমোহন হোন্ডা ষ্টান্ডের কথিত মালিক/নেতা দাবী করে- করে যাচ্ছে । এই সমস্ত কথিত হোন্ডা নেতাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে লালমোহনের সাধারন মানুষজন। এরা মানুষের সাথে খারাপ আচরন করা থেকে শুরু করে গায়েও হাত দিচ্ছে মাঝে মধ্যে। এদের কথিক যায়গায় (হোন্ডা ষ্টান্ড) কেউ হোন্ডা রাখলে দিতে হয় চাঁদা। চাঁদা না দিলে গালাগালি থেকে শুরু করে নেমে আসে অতর্কিত নির্যাতন। তেমনি এক নির্যাতনের স্বীকার লালমোহনের তরুন সাংবাদিক নাইম ইসলাম। জানা যায় ৩ জুন বুধবার বেলা ১২ টার সময় ভোলা-৩ আসনের এমপি লালমোহন চৌরাস্তার মোড়ে রশিদ মাস্টার সড়ক উদ্ভোধন করার নিউজ কবারেজ ও ছবি করার জন্য চৌরাস্তার মোড়ে যায় সাংবাদিক নাইম। চৌরাস্তার মোড়ের পশ্চিম পাশে ফলের দোকানের সামনের রাস্তায় নাইম তার মটর বাইকটি রাখে। কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসে কথিত হোন্ডা নেতা আলী আকবর সম্রাট। সে এসেই নাইমের কাছে হোন্ডা রাখার জন্য চাঁদা দাবী করে। নাইম তাকে বলে আমি ভাড়া হোন্ডা চালাই না। এটা আমার নিজের হোন্ডা। আলী আকবর সম্রাট বলে তাহলে এখানে রাখছেন কেন হোন্ডা। এটা আমার কেনা মটর সাইকেল ষ্টান্ড। এখানে মটর সাইকেল রাখলেই চাঁদা দিতে হয়। সে যেই হোক না কেন। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটির পড়ে নাইম চলে আসে।
জানা যায় লালমোহন পৌরসভার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে হোন্ডা ষ্টান্ড। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লালমোহন চৌরাস্তা এবং উত্তরা ব্যাংকের নিচে সামনের যায়গায়। ব্যস্ততম লালমোহন চৌরাস্তা সবসময় এই হোন্ডা স্টান্ডের কারনে জ্যাম লেগেই থাকে। সরকারি রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে এসব হোন্ডা স্টান্ড করা হয়েছে। এখানে সাধারন লোকজন কোন হোন্ডা রাখলে চড়াও হয় এই ভাড়াটিয়া হোন্ডার ড্রাইভাররা। রয়েছে তাদের নেতা ও পাতিনেতা। কেউ কিছু বললেই সাথে সাথে পাতিনেতার সাধারন লোকদের উপর চড়া হয়। কেউ এসব ষ্টান্ডে হোন্ডা রাখলে চুরি হয়ে যায় হেলমেট সহ মটরবাইকের অনান্য যন্ত্রপাতি। হোন্ডা নেতাদের আচরনে মনে হয় সরকারি রাস্তা যেন তাদের নিজস্ব সম্পত্তি।
এদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে এবং লালমোহন বাজার থেকে হোন্ডা ষ্টান্ড সরানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সাধারন ভুক্তভোগীরা।