মোঃ আরিয়ান আরিফ।।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলার ভোলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে ভোলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, মনপুরা ও কলাতলীর চরসহ ঝুঁকিপূর্ণ ২১ টি চর থেকে ৩ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে। এছাড়া উপকূলের মানুষকে সতর্ক করতে বিভিন্ন এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিবির কর্মীরা মাইকিং শুরু করেছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় উপকূলের অভিমুখে কিছুটা এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ কারণে ভোলাসহ উপকূলীয় জেলা সমূহকে ৭ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
ভোলা জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই দু’দফা জরুরী সভা হয়েছে। জেলা ও উপজেলাগুলোতে ৮ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নদী এবং সাগরের থাকার সকল মাছ ধরার ট্রলার গুলো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে থাকার মতো করে ১১০৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে অন্তত আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া পর্যাপ্ত আশ্রয়ের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল ও কলেজগুলো খুলে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সিপিবি ও রেড ক্রিসেন্টের ১০ হাজার ৫০০ ভলান্টিয়ার, ৭৯টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে ভোলার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, সাত লক্ষ টাকা ও তিন হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।