#############
আমজাদ হোসেন#
কতিপয় ভোলার দ্বীপ মনপুরায় নারী রোগীকে যৌন নির্যাতনের ঘঠনায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী স্বাস্থ্যকর্মী CHCP ফয়সাল বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগের লোক দেখানো তদন্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকজন ভুক্তভুগী।
তবে নারী রোগীকে যৌন নির্যাতন ও ঔষধ বিক্রয়সহ বেশ কয়েকটি দূর্নীতির ঘঠনায় অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক জসিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি ভোলা নিউকে জানান ফয়সালে বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ১৮ মে সোমবার সকাল ১১ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে আমারা তদন্ত করি। তদন্তের রিপোর্ট আমাদের উপরস্থ থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাহামুদুর রশিদের কাছে লিখিত ভাবে দেওয়া হয়েছে।।
তদন্তের বিষয়টি ডাঃ মাহামুদুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে ফোনে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।
তদন্তের বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ডালি আজ সকলে বেশ কয়েক মিডিয়ার কর্মীদের উপস্থিত সাফ জানিয়েছেন তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, তদন্ত নিয়ে কোন পক্ষপ্রতির খবর পেলেই তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।।
বিষয়টি নিয়ে বরিশাল স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে জানতে মুঠোয়ফোন বাবার চেষ্টাও পাওয়া যায়নি ।
উল্লেখ মনপুরা উপজেলার চিকিৎসক CHCP ফয়সাল নিজ বাড়ীর দরজায় প্রতিষ্ঠিত ঈশ্বরগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকের নারী রোগীকে যৌন নির্যাতন সহ বেশ কয়েকটি দূর্নীতির ঘঠনায় অভিযুক্ত করে কয়েকজন এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক নিকেট অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়াও ইতোপূর্বে ওই নারী রোগীকে যৌন নির্যাতনে ও সরকারি ঔষধ বিক্রয়ের অভিযোগ করে গত ১২ তারিখে ঘঠনার বিবরণ দিয়ে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত ঘঠনার বিবরনে ভুক্তভুগী মনপুরা ঈশ্বরগঞ্জ কমিনিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী ফয়সান বিগত ০৩ মে ২০২০ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ১১ টার সময়, তার ক্লিনিকে একজন অসহায় মহিলা ঔষধ এবং চিকিৎসার জন্য গেলে সে মহিলার কাছে নগদ টাকা দাবি করে মহিলা টাকা নাই বলে জানান তখন সেই মহিলাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকেন ফয়সাল হাওলাদার। মহিলা তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া ক্লিনিকের রুমের দর্জা বন্ধ করে দিয়ে মহিলার সাথে দস্তাদস্তি শুরু করেন,তার কাছ থেকে মহিলাটি কোন মতে ছুটে চলে আসেন।
পরবর্তীতে এই বিষয়টি মহিলা মৌখিক ভাবে প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাবা মিসেস সেলিনা আক্তার চৌধুরীকে জানান,এবং মনপুরা ১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর কে জানানো হয় তখন তিনি বলেন লিখিত ভাবে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানানোর জন্য।
মহিলা গত ১২ঃ০৫ঃ২০২০ ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জনাব মাহমুদুর রশিদ কে জানান,তার পরিপেক্ষিতে আজ সকাল তথা ১৩ঃ০৫ঃ২০২০ ইং তারিখে তার বিরুদ্ধে তদন্ত আসার কথা বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটা নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ পেয়ে আসামি ফয়সাল হাওলাদার বাদি পক্ষের স্বামীর হাত পা ধরে অত্র ঘঠনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।।
বেশ কয়েকজন ভোক্তভোগী জানান,ফয়সাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ রকম বিগত দিনে এমন কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার কারনে আরো একবার সাময়িক বহিস্কার করা হয়,
এদিকে এলাকার সাধারণ জনগন জানান তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি,আমরা মনপুরা ১নং ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ তার বিচার চাই এবং তার বিরোদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা ও অপসারণ জোর দাবী জানিয়েছেন এবং জনগন দাবী করেন এর আগেও চিকিৎসক ফয়সাল এ ধরনের ঘটনায় ৩ মাস সাময়িক
বহিষ্কার ছিলেন।