সোহানুর রহমান মনপুরা প্রতিনিধিঃ–
ভোলার মনপুরায় ইউপি সদস্য আবু তাহের আবু মিয়ার হামলায় ৪ বছরের শিশুর একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে হতদরিদ্র ওই শিশুটির পরিবার। শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই পরিবারটির। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে বলে জানালেও আবু মেম্বারের লোকজন ওই পরিবারটিকে নানাভাবে ভয়-ভীতি এবং প্রলোভন দেখাচ্ছে। তবে তাকে সঠিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো।
মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শনিবার সকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায়ীরা দোকান খুললে বাজার কমিটির সেক্রেটারি ও হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবু তাহের আবু মিয়া বিভিন্ন দোকানদারদের লোকজন নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে ভয় পেয়ে বাজারে আসা দাশেরহাট গ্রামের চা দোকানী জসিম তার স্ত্রী ও চার বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে একটি কাপুড়ের দোকানে ঢুকে পড়ে। আবু মেম্বারের ভয়ে দোকানদার দোকান বন্ধ করে দিলে আবু মেম্বার লোকজন নিয়ে ওই দোকানে হামলা চালায়। আবু মেম্বার দরজা ভেঙ্গে ফেলার চেস্টা করতে গেলে দরজার কাঠের আগাতে শিশুটির চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়। স্থানীয়রা শিশুটিকে মনপুরা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তার অবস্থা শোচনীয় দেখলে শিশুটিকে বরিশাল নিয়ে চিকিৎসা করতে বলে। শিশুটির অভিভাবকরা অঘোষিত লকডাউন এর মধ্যে যেতে পারেনি। ভোলা এসে ডাক্তার আলাউদ্দিনের চেম্বারে তার চিকিৎসা করায়। শিশুটি সুস্থ হতে আরো অনেক সময় লাগবে বলে জানায় চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে আবু মেম্বারের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন,আমি ইচ্ছা করে করিনি। দোকানের ঝাপ ধরে ঠেলা দিলে সেটি গিয়ে ঐ শিশুর চোখে আঘাত লাগে। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। শেষে আমি তাকে দ্রুত ভোলায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। একই সঙ্গে শিশুটির যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় বহনের আশ্বাস দেন।
এদিকে এই ঘটনায় ভোলার মানবাধিকার ও শিশু সংগঠন গুলোর কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আবু মেম্বারের সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মনপুরা থানার ওসি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে কেউ অভিযোগ করেনি।
এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমার দাস জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই কঠোর বিচার করা হবে।