মনজু ইসলাম /ইমরান মুন্নাঃ
ভোলায় নিয়মিত লুট হচ্ছে ত্রানের চাল। করোনা পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষ যখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন, ঠিক তখনি ভোলায় চাল চুরির মহাউৎসব চলছে। লালমোহনের বদরপুর ইউনিয়নের মেম্বারের ঘরের মাটির নিচ থেকে আবিষ্কৃত হলো চোরাই চালের খনি, মেম্বার কিন্তু এখনও ধরা পরেনি। লালমোহনের চালচোর ২৫ হাজারে খালাস দিলেন ইউএনও। যদিও খালাসের পরের দিন থানায় একটি মামলা হয়েছে। বোরহানউদ্দিনের চাল চোর ২০ হাজারে মুক্ত। মনপুরার চাল চোর পাশের বাড়ির অসহায় ব্যাবসায়ি কাওসার, হাজির হাট ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। দৌলতখানের দোকানদার জুয়েল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরিদ আলম এর আদালতে ওপেন এজলাসে বলেছে,দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের মিলন মেম্বার ও তার ছেলে আমার দোকানে জোর করে চাল রেখেছে। পরে জুয়েল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলমের কাছে ১৬৪ ধারায় নিজের দোষ স্বীকার করে মেম্বার ও তার ছেলের নাম বলেছে। তার পরেও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চেয়ারম্যান মেম্বাররা। সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল বিকেলে লালমোহনের ইউএনও পাচার কালে নিজে গিয়ে এক ট্রাক চাল আটকিয়ে ট্রাক চালক হেলালকে ৬ মাসের জেল দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাক মালিক চালের মালিককে এবং পাচারকারিকে অন্ধকারে রেখে দিয়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে ট্রাক চালক হেলাল পুলিশ রিমান্ড পাচারকারী চাল চোরের নাম যাতে না বলতে পারে সেই জন্যই তাকে নিয়মিত মামলায় না দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু কেন এটা হচ্ছে? ভোলার মানুষ এই প্রশ্নের কোন উত্তর কিংম্বা সমীকরন মেলাতে পারছেন না। ভোলার সামাজিক ও পেশাজীবী সংঘঠনের নেতাদের দাবী একজন ইউপি চেয়ারম্যান তার ইউনিয়নের সকল চোরদের চেনার কথা। আর তার মেম্বার চাল চুরি করে মাটির নিচে খনি বানিয়েছেন তা তিনি জানেন না, এটা কখনো হতেই পারেনা। এ সকল চেয়ারম্যানদের বিচারের আওতায় না আনলে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর কষ্টে অর্জিত সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাবে বলেও ধারনা করছেন ভোলার সুশীল সমাজ।