মনজু ইসলাম/ টিপু সুলতানঃ
ভোলার মাটিতে নরপিচাশ খুনি মাজেদের লাশ দফনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে ভোলার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতারা। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মোশতাক আহমেদ শাহিনের নেতৃত্বে জেলার বর্তমান সভাপতি ইব্রাহিম চৌধুরী পাপন ও সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মোশতাক আহমেদ শাহিন বলেন, নরপিশাচ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বহিস্কৃত ক্যাপ্টেন মাজেদকে গ্রেফতারের পর আমরা করোনা ভাইরাসের কারনে উল্লাস প্রকাশ করতে পরিনি বলে তার লাশ ভোলয় আসতে দেবো এটা ভাবলে হবে চরম বোকামি। প্রয়োজনে মেঘনায় ভাসিয়ে দেবো তারপরেও ভোলার মাটিতে দাফন করতে দেয়া হবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দেন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতারা। তারা আজ ভোলা সরকারি কলেজের সামনে ইব্রাহিম চোধুরী পাপনের নেতৃত্বে খুনি মাজেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে খুনি মাজেদের কবর ভোলার মাটিতে নয়, এই শিরনামে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন ভোলা -২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল। বিশ্ব মানবতার “মা” ১৬ কোটি বাঙালীর অহংকার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের বিনয়ের সহিত দৃষ্টি আকর্ষন করে এ খোলা চিঠি লেখেন এমপি মুকুল।
মুজিবুরহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ক্যাপ্টেন মাজেদকে গ্রেফতারের পর আমরা করোনা ভাইরাসের কারনে উল্লাস প্রকাশ করতে পারিনি।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয় কর্তৃক, এই খুনির সাধারন ক্ষমা ঘোষনা বাতিলের মধ্যে দিয়ে তার ফাঁসির রায় কার্যকরে আর কোন বাধা নেই।
আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই- খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তার মৃতদেহ যেন ভোলায় পাঠানো না হয়। যেহেতু এই খুনির গ্রামের বাাড়ি আমার নির্বাচনী এলাকায়, সেহেতু তার মরদেহ ভোলায় পাঠানো হলে করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে হলেও আমি নিজে তা প্রতিহত করবো।
আমি বেঁচে থাকতে এই ভোলার মাটিতে ঘৃন্য নরপশু মাজেদকে দাফন করতে দিব না।