আমজাদ হোসেন#
আজ মনপুরা উপজেলায় চলমান নারী ধর্ষন করার হুমকি দেওয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে এমপি জ্যাকব ওসি মনপুরাকে কঠোর নিদের্শনা দিয়েছেন।
এমপি জ্যাকব বলেন আমি একজন মনপুরার মানুষের সেবক হয় কাজ করছি, করে যাবো এর মধ্যে যে বা যারা দলের নাম পরিচয়ের অপকর্ম করবে তাদের কেউ রেহাই পাবে না এবং সাথে সাথে ওসি মনপুরাকে সাফ জানিয়েছেন ওই অপকর্মে কারীকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরন করার জন্য। পাশাপাশি জানাযায় আজ শামসুদ্দিন চলমান এমপি জ্যকবের ত্রান সামগ্রী বিতরন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে পালাতক ছিলেন।
উল্লখ্য ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শামসুদ্দীন সাগরের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে মনপুরা থানায় সাধারণ ডায়রি হয়েছে। শামসুদ্দীন সাগর মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনিয়োগ প্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক ।
এদিকে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যেই শিক্ষকের ভেতরে নীতিনৈতিকতা নাই সেই শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের কি শিক্ষা দিবে। ছাত্রীদের জন্য শিক্ষক হয়ে উঠবে একজন নীরব ধর্ষক। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাকদের ভেতরে দেখা দিয়েছে ভয়।
এছাড়া জানাযায় শামসুদ্দীন ইতিপূর্বে ও মনপুরা বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন নারীদের দলীয় ভয় এবং লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার আগে নিজ এলাকায় ধর্ষণ করতে গিয়ে বটির কোপ এবং মার খেয়ে কচুরিপানায় ঝাপ দিয়ে পালিয়ে চলে আসেন। শামসুদ্দীন যে একজন নীরব ধর্ষক তা তার দলের অনেক নেতাকর্মী জানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতাকর্মী বলেন শামসুদ্দীন দলীয় শক্তি দিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। হাজিরহাট বাজারে টি এন্ড টির যায়গা দখল করে দোকান করার চেষ্টা করেছে এবং তা পত্রিকার মাধ্যমে জানাজানিও হয়। এমন কি আরো জানাযায়, মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদকে ব্যবহার করে নানা অপকৌশল চালিয়ে হয়ে যায় প্রাথমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষক এবং ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস করেনা।
অভিযোগের বিষয় ওসি মনপুরা জানান, তিনি অতিদূরত্ব তদন্তপূর্বেক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভোলা নিউজকে সাফ জানিয়েছেন,শিক্ষক শামসুদ্দিন অভিযোগের কোন কপি পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। চর নিজামের এলাকার এই শিক্ষক কি ভাবে কর্মস্থল ত্যাগ করলেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনপুরা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করতে নির্দেশ দিয়েছি।
শিক্ষক শামসুদ্দিনকে মুঠুফোনে বারবার চেষ্টা করে এখন ফোনে পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে শামসুদ্দীন নারী নির্যাতনের মতো জঘন্যতম কাজটি নিয়ে হতাশ মনপুরা এলাকাবাসী।