মনজু ইসলাম/টিপু সুলতানঃ
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত সন্দেহে ভোলায় ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাপ্তার ২ টি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
গত শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলার চার উপজেলা থেকে এ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এনিয়ে গত দু’দিনে জেলায় ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জন আইসোলেশনে থাকলেও অন্যরা চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভোলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ দিকে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চাচড়া গ্রামের দুইটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে বাপ্তার সুদক্ষ চ্যায়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়ানুর রহমান বিল্পব মোল্লা ও পুলিশের হস্তখেপে মোঃ সুজন ও মোঃ তুহিন এর শরীলে করোনার ভাইরাসের উপসর্গ থাকার কারনে এই দুইটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে বলে ভোলা নিউজকে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব।
ভোলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, নমুনা পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার সন্দেহভাজন রুগী রয়েছেন।
এদিকে জেলায় নতুন করে দু’জনসহ এখনো হোম কোয়োরেন্টিনে রয়েছেন ১১৯ জন।
অপর দিকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ৩১৫ জনের। গত ২০ দিনে জেলায় সর্বমোট ৪৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। আইসোলেশনে ছিলেন তিনজন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১ জন।
এ নিয়ে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, করোনার প্রাথমিক উপসর্গ থাকায় জেলা সদরে আইসোলেশনে থাকা ১ জনসহ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর-এ পাঠানো হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে থাকা ২২
জন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনো পরিস্থিতি ভালো রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জনসহ ১১৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। যাদের মধ্যে সদরে ৩৯ জন, দৌলতখানে পাঁচজন, বোরহানউদ্দিনে নয়জন, লালমোহনে ১০ জন, চরফ্যাশনে ১৪ জন, তজুমদ্দিনে ৩৩ জন ও মনপুরা উপজেলায় ৯ জন।
অন্যদিকে জেলায় সর্বমোট ৩১৫ জনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। যাদের মধ্যে সদরে ৯০ জন, দৌলতখানে ৪৪ জন, বোরহানউদ্দিনে ৩৮ জন, লালমোহনে ৩৪ জন, চরফ্যাশনে ৪৭ জন, তজুমদ্দিনে ৪৪ জন ও মনপুরা উপজেলায় ২২ জন।
মনিরুল ইসলাম
ভোলা-০৫.০৪.২০২০