প্রশাসনের চোখে দুলো দিয়ে ইলিশ সিকার

মোঃ মনজু ইসলামঃ-
ইলিশ শিকার, বাজারজাতকরণসহ রয়েছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। তার পরেও থেমে নেই ইলিশ শিকার। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভোলা থেকে বরিশালে রীতিমতো পাঠানো হচ্ছে ইলিশ। ইলিশের দাম ভালো থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই অবৈধ ব্যবসা।

ভেদুরিয়া ঘাটসহ আশপাশের এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়তই বরিশালে পাঠানো হচ্ছে ইলিশ। ঘাটের পাশে কোস্টগার্ডের পল্টন থাকা সত্ত্বেও এখান দিয়ে চলছে রমরমা ইলিশের ব্যবসা। অন্যদিকে অভিযান চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা। যার কারণে এসকল অসাধু ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ইলিশ বাণিজ্য।

ইলিশ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মৎস্য বিভাগের নেই ভূমিকা। ভেদুরিয়া ঘাটের একজন বলেন, রাত আর দিন নাই প্রতিদিনই এখান দিয়ে অসংখ্য মাছ বরিশালে পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনের ভূমিকা না থাকায় উন্মুক্ত ভাবেই ব্যবসায়ীরা বরিশালে পাঠায় মাছ। বিগতো বছরের মতো চোখে পড়ে না প্রশাসনের অভিযান। ঘাটের পাশে কোস্টগার্ডের পল্টন তার পরেও এখানেই উন্মুক্তভাবে পাঠানো হচ্ছে ইলিশ।

উল্লেখ, (১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২০) টানা ২ মাসের জন্য ভোলার মেঘনাও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সবধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, পরিবহন ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশাসন নাম মাত্র অভিযান চালালেও সরেজমিন ঘুরে দেখা জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে। জনমনে প্রশ্ন হয়েই দাঁড়ায় নিষেধাজ্ঞা তাকা সত্যেও ইলিশ শিকার ক্রয় বিক্রয় চলছে।

SHARE