নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের সাংবাদিক নেতাদের পরিচয় তুলে ধরে আজ ফেইজবুক পেইজে লিখেছেন দেশের এক আজন্ম প্রতিবাদী সাহসী অনুকরণীয় সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন।তার লেখাটি ভোলা নিউজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম।
সাংবাদিকরদর অভিজাত আর আয়েশী নেতার কোনো অভাব নেই, সুবিধাভোগী নেতা~পাতি নেতার সংখ্যা গুণেও শেষ করা যায় না। তবে সাংবাদিকদের বিপদ আপদে~অধিকার রক্ষার সদা সর্বদা যাকে সস্তায় পাওয়া যায় তিনি সবার প্রিয় সূর্য ভাই। এস এ টিভির সামনে সাংবাদিকদের দাবি দাওয়া আদায়ের অনশনকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জরুরিভাবে তাকে বাড্ডা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া চলছিল। রাত দেড়টায় হাসপাতাল কেবিনে গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেলাম। হাসপাতালের ভেতরে, করিডোরে, বারান্দায় উদ্বিগ্ন সাংবাদিকদের ভিড়। আর হাসপাতাল ভবনের সামনের রাস্তায় একের পর এক সিএনজি, মোটর সাইকেল, মিডিয়ার ডিউটি গাড়িতে এসে হাজির হচ্ছেন অধিকার বঞ্চিত ছাপোষা রিপোর্টারগণ।
তবে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে, অনেক উকিঝুকি মেরেও সেই সব নেতাদের কাউকে দেখতে পেলাম না~যারা ভিক্ষাবৃত্তির ক্রীম, পারফিউমে সারা বছর তেলতেলে থাকেন। বোধকরি তেলতেলে দেহের নেতারা প্রতি বছর ভোটের আগে ১৫টা দিনই শুধু মানুষ হয়ে উঠেন, বাকি দিনগুলো তারা নেড়ী কুকুরের মতো ছুটে বেড়ান হাড়-হাড্ডির সন্ধানে….সূর্য ভাই শিগগির সুস্থ হয়ে উঠুন, আমাদের নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় কিংবা মিডিয়া অফিসগুলোর তালাবদ্ধ গেটের বাইরেই থাকুক আপনার অবস্থান। তবেই তো অসহায় গণমাধ্যম কর্মিদের বেতন ভাতা আদায় হবে। আপনি আন্দোলন-অনশনে মৃত্যুমুখে ধাবিত হলেই দেখি অর্ধাহারে অনাহারে ক্লান্ত সংবাদকর্মিদের মুখে আহার জুটে। তারপরও বলবো- নেতৃত্বের ক্ষেত্রে কাধে কাধ মেলানো সবেধন নীলমনি কেবলই আপনি। কষ্ট করে সুস্থ থেকে আপনি চোখ রাঙালে সহকর্মিদের ভাগ্যে আরো ভাল কিছু জুটবে যে #