মনজু ইসলাম/ টিপু সুলতানঃ
ভোলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পোস্ট অফিসে চাকরি করা শের আলী’র বিরুদ্ধে।
ধর্ষক শের আলী ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। সোমবার দুপুরে উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামে ইলিশা বাজার পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষীতা শিক্ষার্থীকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় ধর্ষিতার পরিবার।
ধর্ষিতার বাবা অভিযোগ করে বলেন, তার ৮বছর বয়সী মেয়ে ইলিশার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন সে বাড়ি থেকে পায় হেটে স্কুলে যায়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই এলাকার পোষ্ট অফিসের রানার মো. শের আলী তাকে জুস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পোষ্ট অফিসে নিয়ে যায় এবং তাকে জুস খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে।
পরে তার হুস ফিরে এলে তাকে আবার স্কুলে পাঠিয়ে দেয়। এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষক শের আলী। পরে বিকেল ৪টার দিকে স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থী বাড়িতে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে কয়েক বার মাথা গুরে পরে যায়। এ সময় সাথে থাকা শিক্ষার্থীরা তাকে বাড়িতে পৌছে দেয়। ঘটনাটি বাড়িতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী ভয়ে কাউকে কিছুই বলেনি।
অবস্থা খারাপ দেখে গায়ের জামা খুলে দেখা যায় শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন। পরে তাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের ঘটনা জানায়।
শিক্ষার্থীর বাবা আরো জানান, মঙ্গলবার সকালে মেয়ের অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতাল আনার সময় শেরে আলীর পরিবারের লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে আসতে বাঁধা দেয়। তারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা করানোর কথা বলে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষ হলে তারা থানায় মামলা করবেন বলেও জানান ধর্ষিতার বাবা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শের আলীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ ভিকটিমের খোজ খবর নিচ্ছেন । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।