ভোলার ভন্ড খোদার দেহরক্ষী পুলিশ সাইদুল গ্রেফতার

মনজু ইসলাম ও মাসুদ রানা চরফ্যশন থেকে ফিরেঃ
ভন্ড খোদার দেহরক্ষী ও স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিককে আটক করেছেন চরফ্যাশন থানা পুলিশ। ২১ নভেম্বর আটক হওয়া পুলিশ সাইদুল ভন্ড খোদার প্রধান দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত। উত্তরা এপিবিএন হেডকোয়ার্টারে অবস্থিত ৫ম এপিবিএন এ কর্মরত নায়েক মোঃ সাহিদুল ইসলাম ভন্ড খোদা আব্দুল মজিদের সকল অপকর্মের সহযোগী হিসেবেই কুলসুমবাগের আস্তানার মুরিদরা তাকে চিনতো।
পুলিশ ও ভন্ড খোদার আস্তানা সূত্রে জানাযায়, ভন্ড খোদার মজিদের স্ত্রী মরিয়মের সাথে ডেরায় থাকতে মজিদের দেহরক্ষী পুলিশ সাইদুলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্ক আস্তানায় চাউর হয়ে গেলে ইমেজ সংকটে পরে ভন্ড খোদা আব্দুল মজিদ। এর পর মজিদ তার অনুসারিদের আস্থা ফেরাতে মরিয়মকে তালাকের উদ্দোগ নেয়। এতে মরিয়ম ক্ষিপ্ত হয়ে ভন্ড খোদা মজিদের সকল অপকর্ম ফাঁস করার হুমকি দিলে মরিয়মের সাথে ভন্ড খোদার ১০ কোটি টাকার দফারফা হয় বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভন্ড খোদার একান্ত খলিফা। আর এই অর্থ সম্পদ নিয়ে পুরোনো প্রেমিক পুলিশ সাইদুলের সাইদুলের সাথে পালানোর সময় আব্দুল্লাহ পুরের কথিত মদিনা থেকে চরফ্যাশন থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তারা। চরফ্যাশন থানার ওসি সামসুল আরিফিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভোলা নিউজকে জানান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে আজ ভন্ড খোদা আব্দুল মজিদের দেহরক্ষী উত্তরা এপিবিএন হেডকোয়ার্টারে অবস্থিত ৫ম এপিবিএন এ কর্মরত নায়েক মোঃ সাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভোলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
প্রসাশনের নাকের ডগায় বসে বাংলাদেশের কোন আইন কানুন ই তোয়াক্কা করছেন না খোদার দাবীদার এই আব্দুল মজিদ। তার সাফ কথা কিসের প্রশাসন এদেরতো টাকা দিয়ে কিনা যায়। আমি সারা বাংলাদেশের সিরিজ বোমা হামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী হয়েও বিচারকে টাকা দিয়ে কিনে খালাশ পেয়েছি। এখানে খোদার আইন ছাড়া আর কারো আইন চলবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই ভন্ড খোদা।

আব্দুল্লাহ পুরকে মদিনা ঘোষনা করে কিছুদিন আগে আমিনাবাদের মক্কা থেকে তাড়া খেয়ে কথিত এই মদিনায় হিজরত করেন ভোলায় সিরিজ বোমা হামলার অন্যতম আসামী প্রফেসর আব্দুল মজিদ ।

তিনি চরফ্যাসনের আমিনাবাদ ইউনিয়নে ঘাটি গেড়ে কালেমার জামাত নামে একটি জঙ্গী সংগঠন গড়ে তুলেছেন। চরফ্যাসন থানা থেকে ৩ কিঃ মিঃ দূরে গড়ে উঠা এই জঙ্গী সংগঠন সম্পর্কে প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা ওয়াকিবহাল থাকলেও অজানা কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি তারা।

সম্প্রতি তিনি চরফ্যাশনের আমিনাবাদকে মক্কা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ী আব্দুলাহপুরকে মদিনা ঘোষনা করেন এবং সেখানে সকল ধর্ম প্রান মুসলমানকে হজ্জ্ব করার আহব্বান জানালে চরফ্যাশনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, দেখা দেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা।

স্খানীরা জানান, প্রশাসনের কিছু অসৎ লোকের মদদে এ ধরনের জঙ্গি আস্থানা গড়ে উঠলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আজও। এ ভন্ড খোদা দিনের পর দিন নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করে ও বক্তব্য দিয়ে চরফ্যাশন উপজেলায় ধর্ম প্রান মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থতি তৈরি করছেন।

ইতোমধ্যে ১৫০০জন কালেমার জামাতি সাথীকে কুরআন শপথ করে মৃত্যুর জন্য তৈরি করেছেন নিজেকে খোদা দাবী করা প্রফেসর আব্দুল মজিদ।

এদিকে চরফ্যাশনের প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কার্যকরি ব্যবস্থা না হওয়ায় দিন দিন ভয়ংকর সব অপরাধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছেন কুলসুম বাগের অ-নিবন্ধিত কালেমার জামাতের বিশাল রাজকীয় আস্তানাটি। তবে ভোলার বর্তমান পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ভোলায় যোগদানের পর প্রথম প্রশাসনের নজরে আসে চরফ্যাশনের এই জঙ্গী আস্তানা।

SHARE