মোস্তাফিজুর রহমান চরফ্যশন থেকেঃ
আজ ভোলার ভন্ড খোদার গায়ে হলুদ। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ওসমানের ১১ বছরের মেয়ে সুফিয়াকে বিয়ের নামে ৮০ বছরের ভন্ড খোদার ভোগে দান করতে বাধ্য হন তার মুরিদ ওসমান। সেই উপলক্ষে আজ ১৫ নভেম্বর চরফ্যাশনের আব্দুল্লাহ পুরের কথিত মক্কার আস্তানায় গরু কেটে গায়ে হলুদের উৎসবের আয়োজন করেছেন মুরিদরা। এর আগে গত সপ্তাহে ভন্ড খোদার স্ত্রী মরিয়মের সাথে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় তার উপরে জেনার অপবাদ দিয়ে তাকে তালাক দেন ভন্ড খোদা আব্দুল মজিদ। সেই দিন রাতেই তার উত্তর বঙ্গের আরেক মুরিদ আবুল কালামের বোন শাহেরাহ কে বিয়ে করেন ভন্ড খোদা। এ নিয়ে বন্ড খোদা মজিদের বিয়ের সংখ্যা কত হলো তার কোন হিসেব না দিতে পারলেও আজ গায়ে হলুদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চান না ওই ডেরায় বাসকরা ছাতু খাওয়া খুদার্থ মুরিদরা। প্রসাশনের নাকের ডগায় বসে বাংলাদেশের কোন আইন কানুন ই তোয়াক্কা করছেন না খোদার দাবীদার এই আবব্দুল মজিদ। তার সাফ কথা কিসের প্রশাসন, এদেরতো টাকা দিয়ে কেনা যায়। আমি সারা বাংলাদেশের সিরিজ বোমা হামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী হয়েও বিচারকে টাকা দিয়ে কিনে খালাশ পেয়েছি। এখানে খোদার আইন ছাড়া আর কারো আইন চলবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই বন্ড খোদা।
আব্দুল্লাহ পুরকে মদিনা ঘোষনা করে কিছুদিন আগে আমিনাবাদের মক্কা থেকে তাড়া খেয়ে কথিত এই মদিনায় হিজরত করেন ভোলায় সিরিজ বোমা হামলার অন্যতম আসামী প্রফেসর আব্দুল মজিদ ।
তিনি চরফ্যাসনের আমিনাবাদ ইউনিয়নে ঘাটি গেড়ে কালেমার জামাত নামে একটি জঙ্গী সংগঠন গড়ে তুলেছেন। চরফ্যাসন থানা থেকে ৩ কিঃ মিঃ দূরে গড়ে উঠা এই জঙ্গী সংগঠন সম্পর্কে প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা ওয়াকিবহাল থাকলেও অজানা কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি তারা।
সম্প্রতি তিনি চরফ্যশনের আমিনাবাদকে মক্কা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ী আব্দুলাহপুরকে মদিনা ঘোষনা করেন এবং সেখানে সকল ধর্ম প্রান মুসলমানকে হজ্জ্ব করার আহব্বান জানালে চরফ্যাশনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, দেখা দেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা।
স্খানীরা জানান, প্রশাসনের কিছু অসৎ লোকের মদদে এ ধরনের জঙ্গি আস্থানা গড়ে উঠলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আজও। এ ভন্ড খোদা দিনের পর দিন নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করে ও বক্তব্য দিয়ে চরফ্যাশন উপজেলায় ধর্ম প্রান মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থতি তৈরি করছেন।
ইতোমধ্যে ১৫০০জন কালেমার জামাতি সাথীকে কুরআন শপথ করে মৃত্যুর জন্য তৈরি করেছেন নিজেকে খোদা দাবী করা প্রফেসর আব্দুল মজিদ।
এদিকে ভোলার প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কার্যকরি ব্যাবস্থা না হওয়ায় দিন দিন ভয়ংকর সব অপরাধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছেন কুলসুম বাগের অ-নিবন্ধিত কালেমার জামাতের বিশাল রাজকীয় আস্তানাটি।