মনজু ইসলামঃ
বদলে যাওয়া ভোলা সরকারি কলেজের বদলে দেয়া এক অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভিন আখতার। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই মৃত প্রায় কলেজটিকে আবার জাগিয়ে তোলেন। ফিরিয়ে আনেন ভোলা কলেজের হারানো ঐতিহ্য। দায়িত্ব নেয়ার পরেই তিনি সর্ব প্রথম কলেজের এডমিনেস্টেটিভ পাওয়ার পুর্ণরুদ্ধারসহ কলেজের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে একা হয়ে যাওয়া কলেজের সাথে জেলার সকল অভিবাবক বিশেষ করে জেলার দায়িত্বশীল মানুষদের হারানো সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এর পরেই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মান উন্নয়নে টেকশই কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এবং ছাত্র শিক্ষক ও অভিবাবকদের সমন্বয়ে একটি যুগপৎ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবে রুপ দেয়ার মাধ্যমে ভোলা সরকারি কলেজের রেজাল্টসহ সাহিত্য সংস্কৃতিক ও সর্বপরি জেলার নেতৃত্ব দানকারী কলেজে পরিনত করেন মৃত প্রায় ভোলা সরকারি কলেজটিকে। এরই ধারাবাহিকতায় পর পর কয়েকবারের মতো এবারও এইচএসসি এর আজগের ঘোষিত ফলাফলে ভোলা সরকারি কলেজ জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজের গৌরব অর্জন করেন। ভোলা জেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় সকল কলেজে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩৪ টি,তার মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজ একাই জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৯ টি। ৯৫% কৃতকার্য হয়েছেন,যারা কৃতকার্য হয়েছেন।
এদিকে প্রফেসর পারভিন আখতার আবসরে যাওয়ার পর পুণরায় ভেঙ্গে পরেছে কলেজের পুরো শাসন ব্যবস্থা। যদিও তার পরে দায়িত্ব নেয়া অধ্যক্ষ গোলাম নবী জাকারিয়া প্রাণপন চেষ্টা করেন কলেজের পারভিন আখতারের রেখে যাওয়া সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যবহ রাখতে। কিন্ত লোভী শিক্ষকদের জন্য বেগ পেতে হচ্ছে তাকে। বন্ধ হয়ে গেছে ইংরেজী শিক্ষার অতিরিক্ত ক্লাসসহ বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডগুলো। এভাবে চলতে থাকলে আবারো বিপর্যয়ের মধ্যে পরবে প্রফেসর পারভিন আখতারে অক্লান্ত পরিশ্রমে ফিরিয়ে আনা কলেজের হারানো ঐতিহ্য।