ইব্রাহিম আকতার আকাশ: ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে সকাল থেকে ভোলায় শুরু হয়েছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি সঙ্গে বইছে তীব্র বাতাস। উত্তাল মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি। এমন পরিস্থিতিতে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার ৫টি নৌ-রুটে লঞ্চ ও দুটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি এর পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভোলা নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তির কারনে সমুদ্রবন্দর এলাকায় ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় হাতিয়া-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-আলেকজান্ডার, ভোলা-তজুমদ্দিন-মনপুরা ও চরফ্যাশন বেতুয়া-মনপুরা রুটের সকল লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. কাওসার আহমেদ খান জানিয়েছেন, বুধবার দিনগত রাত থেকে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাট ও ভোলার ভেদুরিয়া থেকে বরিশালের লাহার হাট ঘাটে কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দুটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে, ৫টি নৌ-রুটে লঞ্চ ও দুটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। জরুরি কাজে কেউ কেউ ঘর থেকে বের হয়ে ঘাটে গিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। উত্তাল রয়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। মাছ ধরার সকল নৌকা ও ট্রলার জেলেরা নিরাপদে নিয়ে এসেছেন। উপকূলীয় এলাকা জুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান
মন্তব্য করুন