ইব্রাহিম আকতার আকাশ: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে আবিদা সুলতানা (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ মে) রাতে উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের চকঢোষ গ্রাম থেকে পুলিশ সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
মৃত আবিদা সুলতানা ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. শাহজাদা চৌধুরী সংগ্রামের স্ত্রী। তবে, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ আবিদা সুলতানাকে হত্যা করে শশুরবাড়ির লোকজন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রেখেছে।
আবিদা সুলতানার বাবা মো. রহমান মাঝি জানান, এখন থেকে প্রায় ৩ বছর আগে সুলতানার সঙ্গে শাহজাদার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের শুরুতে তাদের সাংসারিক জীবন সুখের হলেও পরবর্তীতে তাতে মনোমালিন্য দেখা দেয়। রোববার রাতে সুলতানার শশুর বাবুল মেম্বার তাকে (মেয়ের বাবা রহমান মাঝি) ফোন করে জানায়, ‘বিয়াই একটা দুঃসংবাদ আছে, আপনি একটু তাড়াতাড়ি আমার বাড়িতে আসেন’।
পরবর্তীতে তিনি সুলতানার শশুর বাড়ি গিয়ে দেখেন তাঁর আদরের মেয়েটি শশুর বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।
আর্তনাদ করে রহমান মাঝি আরো বলেন, ‘আমার আদরের মেয়েটির জন্য একমাত্র তার শশুরবাড়ির লোকজন ই দায়ী। তারা আমার মেয়েটাকে তিলেতিলে কষ্ট আর অশান্তি দিয়ে মেরে ফেলেছে’। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে, ঘটনার পর আবিদা সুলতানার শশুরবাড়ির লোকজন গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। মুঠোফোনে আবিদার শশুর সাংবাদিকদেরকে জানান, ‘আবিদা সুলতানা কি কারনে এবং কেন আত্মহত্যা করেছে, সেটা তারা কেউই বলতে পারছেন না। তাদের দাবি এটি হত্যা নয়, এটি আত্মহত্যা’।
জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আবিদা সুলতানার সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা কিছুই বলতে পারছি না। মেয়েটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান
মন্তব্য করুন