নুরুল আহাদ তসলিম।।
ভোলার তজুমদ্দিনে ইউনিয়ন বিএনপি কাউন্সিলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, চেয়ার মারামারি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত ২২ জনকে তজুমদ্দিনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি প্রার্থী জাহিদ হাসান দিদার ও অরবিন্দ দে টিটুর সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, অধিবেশনের প্রথম থেকে দুই পক্ষ মারমুখী অবস্থানে ছিল। দ্বিতীয় অধিবেশনে তারা সংঘর্ষে জড়িত হয়। হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলো- শাখাওয়াত (১৬), নয়ন চন্দ্র দে (৪০), সুব্রত (২২), জুয়েল দে (৫২), রাহুল চন্দ্র দাস (২০), আশিস মিস্ত্রি (২৮), উৎপল দে (৩৮), তাপস মজুমদার (৫০), খোকন নট্র (৪০), বিপ্লব বৈদ্য (৫৫), আঃকরিম (৪৫), নাসিম (৩০), মাকসুদ (৩১), রাহিম (১৯), রিপন (২৫), রাসেল (২৬), লোকমান (৩৫), সোহেল (২৫), বাদশা (৩৫), কাশেম (৪০), এরশাদ (২০), জোবায়ের (৪০)।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু জানান, কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশন উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর ভাবে সমাপ্ত হয়। ২য় অধিবেশনে সভাপতি পদে দুইজন ও সম্পাদক পদে দুইজন করে প্রার্থী হওয়ায় আমরা উপজেলা নেতৃবৃন্দ চারজনকে নিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে বৈঠকে বসি। এসময় মাঠে দুই সভাপতি প্রার্থী সমর্থকদের মাঝে চেয়ার মারামারির ঘটনা ঘটে। সভাপতি প্রার্থী জাহিদ হাসান দিদার অভিযোগ করে বলেন, সমর্থন কম থাকায় অরবিন্দু দে টিটুর লোকেরা কাউন্সিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে অরবিন্দু দে টিটু বলেন, উপজেলা বিএনপি আহবায়কের আত্মীয় দিদার আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে আমার লোকজনের উপর হামলা করেছে। তজুমদ্দিন থানা ডিউটি অফিসার জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেনি।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান
মন্তব্য করুন