মেহেদী হাসান, ক্রাইম রিপোর্টারঃ-
পবিত্র ঈদ উদযাপনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতন ভাতা ও বোনাস দেওয়া হয় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের। দেশে প্রায় ৮ মাস যাবত সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেতন ভাতা স্থগিত করেছে সরকার। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্টাফ ( সিএইচসিপি) দের তিন মাসের বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। বেতন-ভাতা প্রদানের সরকারি নির্দেশনা থাকার পরেও ভোলার মনপুরা উপজেলায় দেখা যায় ঠিক তার উল্টো চিত্র, সরকারি ক্লিনিকের কোন স্টাফ (CHCP) পায়নি বেতন ভাতা।। দীর্ঘ্য ৮ মাসসহ ঈদে বেতন ভাতা না পাওয়ায় মনপুরায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের CHCP গন। তবে দেশের প্রায় সকল উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্টাফগন ঈদের আগেই বেতন-ভাতা পেলেছেন।অভিযোগ উঠে মনপুরা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব কর্তব্য অবহেলার কারণে যথা সময় বেতন ভাতা পায়নি সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্টাফগন।
বিষয়টি নিয়ে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, আমাদের কোন অবহেলা ছিল না, যদি থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গত শুক্রবারে বেতন ভাতা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা ওই দিনই ব্যাংকে চেক পাঠিয়েছি এবং সোনালী ব্যাংকে টাকা ছিল না।
অভিযোগের বিষয়ে মনপুরা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার জানান, ব্যাংকে টাকা ছিল না স্বাস্থ্য বিভাগের এমন অভিযোগ অসত্য। তাদের নিজেদের আন্তদন্ডের কারনে টাকা স্বাস্থ্য বিভাগ টাকা নেননি, ২লক্ষ টাকা এখনও জমা রয়েছে।।
উল্লেখ্য, মনপুরা হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, বহির বিভাগ সেবা, অন্তঃবিভাগ সেবা, রোগ নির্ণয় বিভাগের সেবায় নানা মান নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রশ্ন। এছাড়া হাসপাতালের যাবত অনিয়ম নিয়ে বেশ কয়েক দিন সোশ্যাল মিডিয়া ও পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালে যথাযথ সেবা না দিয়ে মনপুরা সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারগন বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন ও করেন টেস্ট বাণিজ্য। মনপুরা ওই সব বেসরকারি ডায়োগনিষ্টিক টেষ্টেও মান নিয়েও রয়েছে ব্যাপক প্রশ্ন ❓ এসব অনিয়ম নিয়ে থাকছে আমাদের ধারাবাহিক ১০টি পর্ব। দেখতে চোখ রাখুন ভোলা নিউজে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান
মন্তব্য করুন