মনপুরায় বিদ্যুতে জন্য হাহাকার বছরের পর বছর , বিদ্যুৎ গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি।
হুমায়ুন কবিরঃ-
ভোলার মনপুরা উপজেলায় আজও লাগেনি জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের ছোয়া। মনপুরা উপজেলার মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে বেড়ি বাঁধ হীন বিচ্ছিন্ন চর মুজাম্মেল রয়েছে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ। এ জনপদের মানুষের প্রাণের দাবী চর মুজাম্মেল থেকে মনপুরা উপজেলা সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা অথচ যৌক্তিক দাবিটি এড়িয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ভাবে এ অঞ্চলে তৈরি করছে সৌর পাওয়ার প্ল্যান।
তবে বছরের পর বছর চলে গেলে ও এখনো তৈরি হয়নি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া সেই সৌর পাওয়ার প্ল্যান ও ফলে চরম ভোগান্তিতে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক বিমা সহ, ৮০০জন বিদ্যুৎ গ্রাহক।
বর্তমানে মনপুরা উপজেলায় চলমান রয়েছে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট পাওয়ার প্ল্যান ওজোপাডিকো। তবে একটি ইঞ্জিন নষ্টের দোহাই দিয়ে সারাদিনে মাত্র ১ থেকে ২ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মনপুরা বিদ্যুৎ বিভাগ,
অথচ নেওয়া হয় ইচ্ছা মত বিদ্যুৎ বিল এমন অভিযোগের সরজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আজ ১৯ মার্চ ২০২৫ মনপুরা বিদ্যুৎ বিভাগের নানা তথ্য অনুসন্ধানের জন্য অফিস পরিদর্শনকালে দেখা যায়, অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলনা, তালাবদ্ধ রয়েছে সরকারি বিদ্যুৎ অফিসটি। মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সারাদিনে কোন বিদ্যুৎ থাকে না রাতে শুধুমাত্র এক থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তবে কিছু কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ দেওয়াই হয় না।
স্থানীয় গ্রাহক মানবাধিকার কর্মী মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, দেশের একমাত্র উপজেলা যেখানে আজো বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগে নি, আমরা সেহরি ইফতারের কোন বিদ্যুৎ পাইনা। বিষয়টি দেখার মত যেন কেউ নেই।
মনপুরায় বিদ্যুৎ বিভাগের নানা অনিয়ম নিয়ে বিদ্যুৎ আবাসিক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিনকে বারবার মুঠোফোনের চেষ্টা করেও সংযোগ করা যায়নি। এমনকি মনপুরা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী উপস্থিত থাকেন না দিনের পর দিন।
বিষয়টি নিয়ে ভোলা বিদ্যুৎ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ জানান, মনপুরা বিদ্যুৎ বিভাগের কোন স্টাফ অফিসে উপস্থিত নেই বিষয়টি আমার জানা নেই। বিদ্যুৎ সংকট নিরশনে সৌর পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। মনপুরা উপজেলায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগ এর স্থাপনের কোন সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, মনপুরা উপজেলায় জরুরী হাসপাতাল সেবা, অফিস আদালত ব্যাংক বিমা সেবা সহ ব্যবসা বাণিজ্য বিঘ্ন ঘটছে মনপুরা বিদ্যুৎ সংকটের কারণে।।
মন্তব্য করুন