ইব্রাহিম আকতার আকাশ,ভোলা: ভোলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে ফজলুর রহমান রিপন নামের এক স্কুল শিক্ষককে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে শহরের একটি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
ফজলুর রহমান রিপন চর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সী গ্রামে। প্রতিপক্ষরা হলেন- একই গ্রামের মো. লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, হাসান মজগুনী ও হাসনুর বেগম গং।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান রিপন অভিযোগ তুলে বলেন, গুপ্তমুন্সী গ্রামে ৩৪০৮ নম্বর দাগে তাঁর ৫৭ শতাংশ জমি রয়েছে। যাঁর আর.এস খতিয়ান ৭২৪ এবং এস.এ খতিয়ান ১৫৪। ২০০১ সালের আগে তিনি ও তাঁর পরিবার ওই জমি ভোগদখল করতেন। এরপর ২০০১ সাল থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লিটন মজগুনী ওই জমি তাঁর বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে তিনি ওই জমি তাঁর দখলে নেন। দীর্ঘদিন প্রায় ২৪ বছর ধরে রিপন ও তাঁর পরিবার ওই জমি থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
সবশেষ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রিপন ও তাঁর পরিবার ওই জমি পুনরায় দখলে নেন। ১০ শতাংশ জমিতে তিনি ঘর উত্তোলন করেন। এরপর থেকেই প্রতিপক্ষরা তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেছেন। যাঁর ফলে প্রতিনিয়ত তিনি ও তাঁর পরিবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষরা তাঁর বিরুদ্ধে ভোলা নৌবাহিনী, সদর মডেল থানা ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কাছে একাধিক অভিযোগ করেছেন। নিদিষ্ট তারিখে রিপন সেখানে উপস্থিত হলে প্রতিপক্ষরা গা-ঢাকা দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিপক্ষরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, আমি একজন স্কুল শিক্ষক হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষরা আমাকে বিভিন্নভাবে ঘায়েল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ভোলা পুলিশ সুপারের কাছে এর সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ভাগ্নে মো. সুমনসহ তাঁর নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন