নিউজ ডেস্কঃ-
ভোলার মনপুরায় কেন্দ্রীয় যুবদল সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন সমর্থিত নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলায় ভোলা-৪ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম সমর্থিত ৮ নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদেরকে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার হাজীর হাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও আহতরা জানায়, সকালে কেন্দ্রিয় বিএনপির সাবেক সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আলম রাজনৈতিক সফরে মনপুরায় আসেন। তিনি অসহায় ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন ও উপহার সামগ্রী বিতরন করেন। পরে বিকেলে তিনি উপজেলা অডিটোরিয়ামে কর্মীসভা ও ইফতার বিতরন করেন। সন্ধ্যায় বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে বসেন। এ সময় উপজেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লোকমান মেম্বারকে বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে মোঃ আপ্পান হাওলাদার গালিগালাজ করেন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে যুবদল নেতা লোকমানকে আপপানসহ ৭/৮ জন মিলে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে সহিংসতা এড়াতে নাজিম উদ্দিন আলম তার নেতাকর্মিদের নিয়ে বিএনপি কার্যালয় ত্যাগ করেন। পরে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন সমর্থিত আবদুল মান্নান চেয়ারম্যান ছেলে আপ্পান হাওলাদার, ও মন্নান হাওলাদারের ভাই হোসেন হাওলাদার, রুবেল, ইব্রাহিম, সাব্বিরসহ সংঘবদ্ধ নেতাকর্মিরা বগি-দা ও লাঠিসোটা নিয়ে হাজীর হাট বাজারে থাকা আলম সমর্থিত নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বগি দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন আরাফাত রহমান কোকো পরিষদের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহিম। এছাড়াও গুরুতর আহত হন স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দুলাল, ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহিন আলম, আবুল কাশেম, সাবিত, সোহেল। আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে সেখানেও হামলা চালায় কেন্দ্রিয় যুবদল সম্পাদক নয়ন সমর্থিত নেতাকর্মিরা। এ সময় কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মনজুরুল মুর্শিদ আহত হন। অতঃপরে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে মনপুরা থানা পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। উক্ত ঘটনায় হাজীর হাট বাজার ও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে আলম সমর্থিত যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক লোকমান হোসেন মেম্বার বলেন, আমি বিএনপির পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে মান্নান হাওলাদারের ছেলে আপ্পান আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে গাড়ি থেকে নামিয়ে আমাকে ফের মারধর করা হয়। আমাদের নেতাকর্মীরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও বগি দা ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতারি মারধর করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সামস উদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী বলেন, বিএনপির সাবেক সম্পাদক মান্নান হাওলাদারের নের্তৃত্বে এই হামলা হয়েছে। নাজিম উদ্দিন আলম যতবার মনপুরায় রাজনৈতিক সফরে এসেছেন ততবারই তারা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে। তারা সত্যিকারার্থে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। আমার এ ঘটনায় মনপুরা থানায় মামলা করবো।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নয়ন গ্রুপের মন্নান হাওলাদারকে মুঠোফোনে এখনও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ, মনপুরা বিএনপির নয়নগুরুপের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও সংঘাত সংহিতার অভিযোগ রয়েছে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান
মন্তব্য করুন