ইব্রাহিম আকতার আকাশ, ভোলা: ভোলায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের ১৬ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে ভোলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ.এইচ.এম.মাহমুদুর রহমান আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মো. কামাল হোসেন, সেলিম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাবেক কাউন্সিলর ফেরদাউস আহম্মেদ, সাবেক প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন লিংকন, সাবেক কমিশনার শাহে আলম, সাবেক কাউন্সিলার আতিকুর রহমান, আবুল হাসনাত ইভান, সিরাজুল ইসলাম দিদার, আবুল কাশেম, জসিম উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন লিটন, রুহুল আমিন কুট্রি, মোহাম্মদ খোকন গরানী, মোরশেদ আলম চান ও মো. জাকির হোসেন।
মামলার এজাহার ও আসামী পক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩রা মার্চ ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৬ বছর পরে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গেল ২ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন বাদী হয়ে ভোলা-১ আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদসহ ৮৪ জনকে আসামী করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২৬ জানুয়ারি ১৮ জন আসামী উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সাবেক ভোলা পৌরসভার ৪ কাউন্সিলরসহ ১৮ জন আসামী রোববার সকালে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন এবং বাকী ১৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলার শুনানি করেন এডভোকেট মো. খায়ের উদ্দিন সিকদার ও তার সাথে শুনানিতে অংশ নেন এ্যাডভোকেট মাহবুব হক লিটু, জুলফিকার আহমেদ, স্বপন হোসেন, নুরনবী, সোয়াইব হোসেন মামুন, কিরন তালুকদার ও ইশতিয়াক হোসেন বাপ্পি।
এসময় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ঘটনার সাথে উক্ত আসামিদের সম্পৃক্ততা না থাকায় এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
এদিকে, আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করায় তারা আদালত প্রাঙ্গনে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিকেলে তাদেরকে প্রিজনভ্যানে করে তাড়াহুড়ো করে তাদেরকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
একই মামলার ২৮ নম্বর আসামি সদর উপজেলা ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহিরও রয়েছেন। গেল ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি অপারেশন ডেভিল হান্টে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দী আছেন।
মন্তব্য করুন