তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।।
ভোলার তজুমদ্দিনে জমি বেচা-কেনার বায়না পত্রের সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে ফারুক ক্যাশিয়ার নামের এক সরকারি কর্মচারীর প্রতারণার বিচার ও টাকা ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ব্যবসায়ী। ফারুক ক্যাশিয়ার তজুমদ্দিন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে বদলী হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হিসাব রক্ষক (একাউন্টেন) পদে কর্মরত আছেন। তিনি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ব্যবসায়ী আঃ মতিন জানান, ২০২১ সালে এ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হকের কাছে ২০০ শতক জমি ২৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দরদাম চূড়ান্ত হয়। উকিল সাহেব ফোন করে তার খালাতো ভাই ফারুক ক্যাশিয়ারের কাছে টাকা জমা দিতে বলেন। পরে দলিল লেখক সিরাজ পাটওয়ারীসহ নুরুজ্জামান মাস্টার ও লিটন মহাজনের মোকাবেলা ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। বাকী টাকা জোগাড় করে উকিল সাহেবকে জমি দলিল দিতে বললে ফারুক ক্যাশিয়ারের কাছে জমা দেওয়া টাকা পায়নি বলে জানান।
আঃ মতিন আরো জানান, ফারুক ক্যাশিয়ারের কাছে জমা টাকা ফেরত চাইলে তখন লিটন মহাজন ও মনির শিকদারকে দিয়ে আমাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। আমি কলেজের কাছে বালি উত্তোলনের জন্য জমি প্রস্তুত করলে লিটন মহাজন বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে লিটন মহাজন আমার দোকানে এসে পিস্তল ঠেকিয়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এদের ভয়ে কেহ প্রতিবাদ করার সাহস করেনি। তাদের অত্যাচারে আমি ব্যবসা বাদ দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হই। আমি ৫ আগস্টের পর দেশে ফিরে এসে এসব ঘটনার বিচার দাবী করছি। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান
মন্তব্য করুন