নিউজ ডেস্ক।।

ভোলায় হঠাৎ করেই তীব্র সংকট দেখা গিয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। তেল কিনতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অধিক মূল্য নেওয়ার জন্য বোতলজাত সয়াবিনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন। এমনকি অন্য পণ্য না কিনলে দিচ্ছে না তেল। ভোলার পৌর শহরের চকবাজার, কাঁচা বাজার, খালপাড় পাইকারি ও খুচরা দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, মুদি দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। বেশির ভাগ দোকানেই সয়াবিন তেলের সংকট। তবে হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে কিছু সংখ্যক বোতলজাত সয়াবিন তেল থাকলেও সবাই কিনতে পারছেন না।
মো. জামাল হোসেন, সোহেল মিয়া ও ইসমাইল গোলদার নামে ক্রেতারা জানান, ১০-১২ দোকান ঘুরেও তেলের দেখা পাননি। তবে ৩-৪টি দোকানে থাকলেও তারা তেলের সঙ্গে চিনিগুঁড়া চাল কিনতে বাধ্য করছেন।
মো. সালাউদ্দিন ও ঝিলন মিয়া জানান, তারা বাজারে অনেক খোঁজাখুঁজি করে এক লিটার করে বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনেছেন। কিন্তু গায়ের দাম লেখা ১৭২ টাকা, আর দোকানদার নিয়েছেন ১৮০ টাকা করে। তাও আবার তেলের সঙ্গে এক কেজি করে চিনিগুঁড়া চাল নিতে বাধ্য করেছেন।
ভোলার কাঁচা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সঞ্চয় দে বলেন, বোতলজাত তেলের অর্ডার দিলে কোম্পানির লোকজন চাহিদা অনুযায়ী তেল দেয় না। আবার আমাদের তেলের সঙ্গে ডিলাররা অন্য পণ্য গছিয়ে দেয়। আমাদেরও বাধ্য হয়ে নিতে হয়।
একই এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহীম বলেন, কোম্পানির ডিলাররা আমাদের তেলের সঙ্গে চিনিগুঁড়া চালসহ বিভিন্ন পণ্য নিতে বাধ্য করছে। তাই আমরাও ক্রেতাদের তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য নিতে বাধ্য করি।
তবে খুচরা মুদি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অস্বীকার করে তীর কোম্পানির ভোলা সদরের ডিলার মোহন বর্ণিক বলেন, আগের চেয়ে বোতলজাত তেলের চাহিদা বেশি থাকলেও কোম্পানি সে পরিমাণ তেল দিতে পারে না। তাই বাজারে তেলের কিছুটা সংকট। এছাড়া তিনি বলেন, কোম্পানি বোতলজাত তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য দিয়ে দেয়। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা সরাসরি তেল বিক্রি করি না। কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের কাছে গিয়ে অর্ডার নেন।
ভোলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মোস্তফা সোহেল জানান, তাদের কাছে বোতলজাত তেলের বিষয়ে ক্রেতাদের কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো তারা দেখছেন। এছাড়া তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য নিতে বাধ্য করা ও দাম বেশি রাখার অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান