নিউজ ডেস্ক
ভোলায় জমি-জমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ ২জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) ভোলা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত ২জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা যাতে কোন মামলা-মোকদ্দমায় না যায় তার জন্য প্রতিপক্ষ ওই গ্রুপটি নজরুল ইসলাম গংদের ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাসেরও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
অভিযোগ এবং সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা গেছে, ভোলা পৌরসভায় ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম খোকন গং দের সাথে একই এলাকার মোঃ ছাদেক গংদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধ নিয়ে একাধিকবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নজরুল ইসলাম গংদের বসত ঘরের সামনের হাটা-চলার পথ বন্ধ করে জোরপূর্বক গেইট নির্মাণের কাজ শুরু করেন ছাদেক গংরা। এ সময় নজরুল ইসলামের ছেলে সাকলিন মুছা (ইমন) এগিয়ে এসে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন। এ কথা বলায় মোঃ ছাদেক গংরা ইমনকে গালমন্য করেন। কেন গালমন্য করেন এমন প্রশ্ন করলে ইমনকে মোঃ ছাদেকের নির্দেশে তার ছেলে আনিছুর রহমান কুশল ও মিজানুর রহমান তাদের হাতে থাকা জিআই তার দ্বারা এলোপাথারী মারধর করে। ইমনকে রক্ষার জন্য তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও জিআই তার দ্বারা আনিছুর রহমান ও মোঃ মিজানুর রহমান বেধরক মারধর এবং কাপড়-চোপড় টনা হেচড়ার মাধ্যমে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। তাদের ডাক-চিকৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং এ ঘটনায় কোন প্রকার মামলা-মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকি দিয়ে যান। যদি মামলা-মোকদ্দমা করেন তা হলে প্রাণ নাসেরও হুমকি দিয়ে যান। স্থানীয়রা আহত ইমন ও তার স্ত্রী ফরাজানাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিরাপত্তাহীনতায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীরা ভোলা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে এসে এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, ছাদেক গংরা দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তারা আমাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে। তারা সেই জমি ভোগ দখল করছে। কিন্তু এখন আবার তারা তাদের সেই জমির সাথে আমাদের যে জমি রয়েছে তার মধ্যে জোরপূর্বক এসে গেইট নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের মারধর করে। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। এছাড়া ওই ঘটনায় আমরা ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। যার নং-৩৪০/২৫। তারিখ-২৪/০২/২৫ইং। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোলা সদর মডেল থানার এসআই পল্লব ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। ঘটনার বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান
মন্তব্য করুন