দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন।

মোঃ আওলাদ হোসেন, দৌলতখান।

শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সারাদেশের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অদ্য ১৮সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন অত্র বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ

গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেজেটেড কর্মকর্তাদের উপর প্রকল্প থেকে রাজস্বে আসা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ। কমকর্তারা বলেন, একইসাথে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা মূলত প্রকল্পের অংশ হিসেবে উপবৃত্তি কর্মকর্তা হিসেবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে চাকুরি থেকে অব্যাহতির শর্তে যোগদান করে। পরে মানবিক বিবেচনায় তাদেরকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে রাজস্বভুক্ত করা হয়। কিন্তু, বিস্ময়কর ব্যাপার হলো তারা এখন তাদের জন্য বিধিমালা অনুসারে বরাদ্দকৃত পদের বাইরে গিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়ন চাচ্ছে যা পিএসসির মাধ্যমে এবং বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক এবং বিধিবহির্ভূত।

দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর বিভিন্ন সুযোগসন্ধানী মহল সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে গিয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়া পেশ করছে যা অধিকাংশই অগ্রহণযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় মাউশিতেও একাডেমিক সুপারভাইজার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও অগ্রহণযোগ্য ও অনভিপ্রেত বিভিন্ন দাবী হিসেবে নিয়মিত হাজির হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বরও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা নিজ নিজ অঞ্চলের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসমূহকে উন্মুক্ত রেখে মাউশিতে এসে দলবদ্ধভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়োগ চালিয়েছে এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে অগ্রহণযোগ্য ও বিধিবহির্ভূত বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করেছে; ব্যানারও করেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে তারা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়দের অনুমতিও নেননি এই কর্মসূচিতে আসার পূর্বে। তাই, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয় এবং ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়। এমনকি নারী শিক্ষকদেরও হেনস্তা করা হয়। এদের হাতে সরকারি স্কুল ও বেসরকারি স্কুলসমূহের সম্মানিত শিক্ষকরা যে নিরাপদ নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই, এরই প্রতিবাদ হিসেবে আমরা মানববন্ধন ও কর্মবিরতি দিয়েছি।

এমতাবস্থায়, এমন বিশৃঙ্খলা ও হামলার জন্য সুস্পষ্টভাবে দায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE