ভোলায় রাতের আঁধারে নৈরাজ্য, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি।

ডেস্ক রিপোর্ট।। ভোলায় রাতের আঁধারে  স্থানীয় এক কোম্পানীর সিনিয়র ম্যানেজারের বসত ঘরে প্রবেশ করে অর্ধকোটি টাকা দাবি করে এবং পরিবারের উপর হামলা করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ভোলা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিভিএস রোড সংলগ্ন রিজার্ভ পাড় এরিয়ায়  বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সারে ১১ টার সময় ঘটেছে। এই ঘটনায় আহত হন ম্যানেজার মো. ফকরুল ইসলাম রাসেল (৪৬), স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৫), মেয়ে তাবাসসুম (১৫), ছেলে তাহিম (৮), তাকরীম (২)। আহতরা ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আহত ফকরুল ইসলাম রাসেল ভোলার তাসণীম এগ্রো লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কমরত আছেন। অভিযোগের সূত্র থেকে জানাযায়, স্থানীয় মাকসুদুর রহমান হিরন, মাহে আলম, দেলোয়ার গংরা রাঁত সাড়ে ১১ টার সময় ম্যানেজার রাসেলের ফ্লাট বাসায় জোর করে প্রবেশ করে ৫০ লক্ষ টাকা পাবে বলে দাবী করেন এবং মুহুর্তেই পরিশোধ করার চাপ দিলে ঐ ম্যানেজার দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে ম্যানেজার রাসেলকে এলাপাতারি ভাবে মারধোর করে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করেন। এক পর্যায়ে রাসেলের স্ত্রী সন্তান এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে সন্ত্রীরা। তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও হিরন নামের একজন সন্ত্রাসী স্থানীয়দের দ্বারা গণধোলাইয়ের শিকার হন।

এই ঘটনায় ম্যানেজার রাসেল মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, রাঁত সাড়ে ১১ টার সময় ফোন করে কথা আছে বলে আমাকে দিয়ে আমার বাসার গেইট খুলিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান হিরন, মাহে আলম, দেলোয়ার ও অজ্ঞাতরা আমার ঘরে জোর করে প্রবেশ করে ৫০ লক্ষ টাকা দাবী করলে আমি দিতে অসম্মত জানালে আমাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করেন। আমার চিৎকারে পাশের রুম থেকে আমার স্ত্রী সন্তানরা দৌড়ে আসলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করে। তখন স্থানীয়রা আমাদের আর্তচিৎকার শুনে আমাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। আমি প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই। অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমান হিরন সাংবাদিকদের বলেন, আমি রাসেলের মিলের মালিক মঞ্জুর কাছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পাবো। সেই টাকা ম্যানেজারের বাসায় গিয়ে চাইতে গেলে তারা আমার ও আমার লোকজনের উপর হামলা করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমিও এর বিচার চাই। ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্তে কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE