মনপুরায় জামাল মেম্বারের চাঁদা দাবি ও দোকানে তালা, নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ।

 

ডেস্ক রিপোর্টঃ-
মনপুরা ফকির হাট বাজারে সালিশ বা স্থানীয় ফায়সালা করার জন্য দিতে হবে ১০ হাজার টাকা এবং চাঁদা দাবীতে ব্যাবসায়ীর দোকান বন্ধ করে দেন, ইউপি সদস্য ও ফকির হাট বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন মেম্বার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত জানান, গত ৩১ই আগষ্ট ফকিরহাট বাজারে পারিবারিক আত্মীয় নানু মাঝি সাথে আমার ছেলের বাজারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। উক্ত বিষয়ে আমরা কেউ কারো কাছে অভিযোগ করি নাই। অথচ অভিযুক্ত জামাল মেম্বার স্ব- প্রণোদিত হয়ে আমাকে আমার ছেলের দোষের জন্য প্রকাশ্যে চোয়ার-থাপ্পর মারে এবং আমার দোকানে তালা মেরে দেন। পরবর্তীতে আমি ভুক্তভোগী আব্বাস উদ্দিন অভিযুক্ত জামাল মেম্বারের সাথে দেখা করলে, অভিযুক্ত জামাল মেম্বার স্থানীয় সালিশ করে দেওয়ার কথা বলেন এবং তবে সালিশ করে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন, টাকা না দেওয়ার আগ পর্যন্ত ফয়সালা হবে না ও আমার দোকানটি বন্ধ থাকবে মর্মে সাফ জানিয়ে দেন।

অভিযুক্ত জামাল মেম্বার জনপ্রতিনিধি ও বাজার কমিটির সভাপতি হয়ে কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়া বা প্রকাশ্যে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার কতটুকু আইন সঙ্গত। উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জামাল মেম্বার জানান, আমি ফকিরহাট বাজার কমিটির নতুন সভাপতি। মূলত উক্ত সিদ্ধান্তটি বাজার কমিটির সভাপতি হিসেবে নেওয়া হয়েছে, বাজারে কেউ মারামারি করলে উভয়পক্ষ ১০ হাজার টাকা করে জামা রাখতে হবে, এরপরে আমরা ফয়সালা দেওয়া হবে ।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমি তদন্ত করবো এবং আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

উল্লেখ্য,একজন বাজার কমিটির সভাপতি অথবা জনপ্রতিনিধি হয়ে সামাজিক স্থানীয় ফয়সালার জন্য ১০ হাজার টাকা দাবী করা কিংবা কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্য তালা দেওয়া, এমন কি কারো গায়ে হাত তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি ও আইন পরিপন্থী কর্মকান্ড বলে মনে করেন মনপুরা সচেতন মহল।

ভোলা নিউজ /টিপু সুলতান

SHARE