ভোলায় বজ্রপাতে নিখোঁজ কিশোরের সন্ধান মেলেনি, শঙ্কামুক্ত ৯ রাখাল

 

ইব্রাহিম আকতার আকাশ: ভোলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে নিখোঁজ হওয়া কিশোর শাহীনের সন্ধান পায়নি ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি টিম। বৈরী আবহাওয়া থাকার কারণে ডুবুরি টিম আড়াই ঘন্টার বেশি মেঘনা নদীতে অভিযান চালাতে পারেনি। অন্যদিকে তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহির উদ্দিনে বজ্রপাতে আহত হওয়া ৯ মহিষ রাখাল সুস্থ আছেন। চিকিৎসক তাদেরকে শঙ্কামুক্ত ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া ও তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহ শারমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া জানান, মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া কিশোর শাহীনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি টিম আজ মঙ্গলবার আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে তার কোনো সন্ধান পায়নি। বৈরী আবহাওয়া থাকার কারণে তারা উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে গেছেন। শাহীনকে খোঁজে পেতে তার পরিবার নদীতে মাইকিং করছে।

তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহ শারমিন জানান, তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহির উদ্দিনে বজ্রপাতে আহত হওয়া ৯ মহিষ রাখাল সুস্থ আছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে। রাতে অথবা সকালে তাদেরকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ, গতকাল সোমবার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কোড়ার হাট বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে সালাউদ্দিন মাঝি নামের এক জেলের মৃত্যু হয়। এসময় তার ছেলে শাহীন মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। আহত হয় লিটন নামের আরেক জেলে।

একই দিন রাতে তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহির উদ্দিনের সোনাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বজ্রপাতে ৯ মহিষ রাখাল আহত হয়। পরে রাতেই তাদেরকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন মো. মনির (৩০), আবুল বাসার (৪০), সালাউদ্দিন (৩৫), আবু তাহের (৬০), দ্বীন ইসলাম (৪৫), হৃদয় (২০), ফাহিম হাসান (১৮) ও কামালউদ্দিন (৪০)।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE