ভোলায় নির্মানাধীন সুইমিংপুল ধস।

অনলাইন ডেস্ক।।

নেই বড় ধরনের ভূমিকম্প, কোন ধরনের নাশকতা নেই। হঠাৎ ধসে পড়লো প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সুইমিংপুলের বিশাল একটি অংশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে বাংলাদেশ যুব ও ক্রিয়া মন্ত্রনালয়ের জাতীয় ক্রিয়া পরিষদের অধীনে নির্মিত ভোলা শহরের সরকারি স্কুল মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে। সেন্টারিং এর কাজে স্টিল শাটারিংয়ের পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার, স্টিলের বললি ব্যবহারের পরিবর্তে বাঁশের বললি ব্যবহার সহ বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ এ কাজে অনিয়মকারী সকলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন তারা।

ভোলা জেলাস্থ গজ্নবী স্টেডিয়াম এর অধিকতর উন্নয়ন, ইনডোর স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুল নির্মাণ কাজ এর আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে জিও বি প্রকল্পের মাধ্যমে যুবক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৯ কোটি ৬৭.৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ভার নির্ধারণের মধ্য দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটি পায় রাশেদুজ্জামান টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং এসএ খান (জিবি) কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে কাজ শুরু হলে একে একে উঠে আসে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম। যেখানে প্রতিটি ঢালাইয়ে স্টিল শাটারিং ব্যবহার করার কথা থাকলেও এখানে দেখা গেছে ব্যবহার হচ্ছে রীতিমত কাঠ দিয়ে সেন্টারিং। স্টিলের বললি ব্যবহারের স্থানে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশের বললি। শুধু তাই নয়, ৩০ ফুট উঁচুতেও বাঁশের বলির মাধ্যমে নিচ থেকে ঠ্যাক দিয়ে কাঠের সেন্টারিং করে তার ওপর রীতিমতো ঢালের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে ও রট, সিমেন্ট সহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের মধ্য দিয়ে চলা সুইমিংপুলের কাজটি খুবই নিম্নমানের হওয়ায় ধসে পড়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

তাছাড়া নির্মাণ কাজের নিচ দিয়েই সরকারি স্কুল মাঠের ওয়াকওয়ে হওয়া সত্ত্বেও নির্মাণ সাইটে নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা সবসময় পথচারীরা হাঁটাচলার কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাশেদুজ্জামান -টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাইটে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এরকম ঘটনার জন্য আমরা কিছুটা শঙ্কিত, কারণ নির্মাণ সময়ে ২০ জন শ্রমিক উপরে ওঠে কাজ করেছিলো, তখন কোন ধরনের দূর্ঘটনার লক্ষণও ছিলো না৷ কিন্তু ৩ ঘন্টার পর এমনটি কেনো হলো তার সৎত্তর দিতে পারেনি তারা। সেন্টারিং বাশ ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে বিষয়টি তারা এড়িয়ে গিয়ে এই প্রতিপাদকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজার চেষ্টা করেন।
তবে প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের একটি ঘটনা ভোলার আপামর জনসাধারণকে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রতিটি কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি না থাকায় একের পর এক অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE