বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের যে কোন সরকারি নিয়োগ মানেই অন্য রকম বানিজ্য। ঘুষ দুর্নীতির মহাউৎসব। সেখানে শুধু নিয়োগ ই দেন নি নিয়োগ পাওয়াদের ফুল দিয়ে বরণ করেছেন এবং নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেককের পরিবারের জন্য নিজ খরচে মিষ্টি কিনে পাঠিয়েছেন ভোলার চীফ জুডিসিয়াল শরীফ মোঃ সানাউল হক। যা বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন আঘাত।
যেখানে তদবিরবাজি, ঘুষ দূর্নীতির জন্য নিয়োগ আয়োজনের সাহসই পাননা সেখানে ভোলার বর্তমান চীফ জুডিসিয়াল তার কোর্টে নিয়োগ দিয়ে অন্যরকম এক ইতিহাস গড়েছেন। তিনি নিয়োগে কোন অবৈধ কিছুতো দূরের কথা উল্টো নিয়োগ প্রার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেছেন। এমন একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখে চীফ জুডিসিয়াল বনদনায় মেতেছেন পুরো ভোলার মানুষ।
চিরাচরিত সকল অনিয়মের বেড়াজালে কষাঘাত করে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ভোলার চীফ জুডিসিয়াল শরীফ মোঃ সানাউল হক ৩ জনকে পদায়নের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন।
ভোলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রসেস সার্ভেয়ার ৬ টি শূন্য পদ ছিল, বিধি মোতাবেক ৩ টি পদের জন্য দরখাস্ত আহবান করা হয়। পদোন্নতি প্রাপ্তির জন্য মোট ৯ জন দরখাস্ত করেন। সেখান থেকে লিখিত, মৌখিক পরিক্ষা, সততা, আচার আচরন, সার্ভিস বুক পর্যালোচনা করে নিয়োগ পরিক্ষার আয়োজন করা হয়। সততা আচার আচরন, মেধা ক্রম অনুযায়ী মোঃ বনি আমিন, মোঃ ফজলুল করিম, মোঃ সাইফুল ইসলামদেরকে অফিস সহায়ক থেকে প্রসেস সার্ভেয়ার পদে পদোন্নতি দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৫ অক্টোবর তাদের নতুন পদে যোগদান উপলক্ষ্যে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করানোর আয়োজন করেন খোদ চীফ জুডিসিয়াল নিজে। নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেকের পরিবারের জন্যও এক প্যাকেট করে মিষ্টি ও ফুলের তোরা পাঠিয়েছেন ভোলার বিচার আঙ্গনের আর্শিবাদ চীফ জুডিসিয়াল শরীফ মোঃ সানাউল হক।
এর আগে ভোলার পুলিশ সুপার পুলিশ সদস্য এবং জেলা ও দায়রা জজ ডক্টর এ.বি.এম. মাহমুদুল হক দূর্নীতিমুক্ত ও নিরপেক্ষ নিয়োগ দিয়ে ভোলায় ইতিহাস রচনা করেছিলেন।
১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের নয়া নিয়োগ পাওয়াদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোঃ সানাউল্লাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হয়াদার কামাল ও সুলতান মোহাম্মদ মিলন।