———
আমজাদ হোসেন
ভোলায় জমিজমাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ মহিলাসহ দুজনকে হামলা করা হয়েছে এবং ঘটনা স্থল থেকে অভিযুক্ত নুরনবীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। যাহার নং- ০২/৪৭১।
রবিবার দুপুরে ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, মোঃ শাখাওয়াত হোসেনদের সাথে স্থানীয় মোঃ নুরনবী, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ সাদ্দাম হোসেন মিঠু, মোঃ সামসুদ্দিন হাওলাদার, মোঃ এমরান ও মোঃ নিজামদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে দন্দ চলছিলো।ঘটনার দিন দুপুরে আহত মোঃ শাখাওয়াদের সাথে প্রথমে নুরনবীর সাথে জমিজমা নিয়ে কথাকাটা কাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় উল্লেখিতসহ কয়েকজন অস্রশস্র, লাঠিসোটা, লোহার রড় ও বগিদা নিয়ে মোঃ শাখাওয়াতদের বসত ঘরের সামনে গিয়ে গালিগালাজ করে। একপর্যায় তারা মোঃ শাখাওয়াতের উপর হামলা চালায়। মোঃ শাখাওয়াতকে রক্ষা করার জন্য মোঃ শহিদুল হাওলাদার এবং নাজমা বেগম এগিয়ে আসলে উল্লেখ্যিতরা তাদের উপরও হামলা চালায়। এক পর্যায় শাখাওয়াতের মায়ের পরিহিত কাপর চোপর টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী করে। এসময় তাদের সাথে থাকা স্বর্ণ অলঙ্কারও উল্লেখিতরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পরিস্থিতির ভয়াভহতা দেখা দিলে এবং উল্লেখিত অভিযুক্তদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মোঃ শাখাওয়াতরা ৯৯৯ এ ফোন করে জানাইলে ভোলা থানা থেকে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মোঃ নুরনবীকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরবর্তিতে স্থানিয়রা শাখাওয়াত ও তার মাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতরা জানায়, উল্লেখিতরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে আবার তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা করছে।
আহতের বড় ভাই মোঃ খায়রুল ইসলাম মামুন জানায়, তার বাবা দীর্ঘদিন যাবত সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানায় ছাতক সিমেন্ট কোম্পানীতে টেকনিশিয়ান হিসাবে সরকারীরচাকরী করতেন। চাকুরি করার সুবাধে তাদের পুরো পরিবার ঐ জেলায় বসবাস করতেন। তার বাবা অবসর প্রাপ্ত হয়ে ৪০ বৎসব পর নিজের বাড়ি এসে ঘর নির্মান করতে গেলেও উল্লেখিতরা তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক বাবার উপরেও অতর্কৃত হামলা চালিয়ে রক্তাত্য করেছে।
স্থানীয় প্রায় অর্ধশত ব্যাক্তি জানায়, উল্লেখিতরা রাজনৈতিক নেতাদের আত্মিয় স্বজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় লুটতরাজসহ নৈরাজ্য করে বেরায়। তারা সিন্ডিকেট করে জনসাধারনের কাছে জমি বিক্রয় করে আবার সেই জমি জোর করে দখল করে নেয়। শুধু তাই নয় কেউ নিজের দখলিয় জায়গায় ঘর তুলতে গেলে উল্লেখিতরা দলবল নিয়ে সেই ঘর ভেঙ্গেচুরে গুড়িয়ে দেয় এবং আর ঘর তুলতে দেয়না।উল্লেখিতদেরকে চাঁদা দিলে আর কোন ঝামেলা করেনা।
ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনার বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনা প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে প্রকার্শ্যে এধরনের অস্রশস্র নিয়ে ঘটনার এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক এমন ঘটনার বিচার দাবি করছেন স্থানীয়রা।