মনজু ইসলামঃ
ভোলার পুলিশ সুপার মানুষটির বাড়ি ভোলায় নয়। তারপরেও দিন রাত করে যাচ্ছেন ভোলা দ্বীপের অসহায় মানুষ গুলোর জন্য। তার কাজ তো শুধু ভোলার মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা। কেন তিনি এতোসব সামাজিক কাজ করবেন। ত্রাণ নিয়ে কেন ছুটে যাবেন ইলিশা নদীর পাড়ে। ভাঙ্গন কবলিত ইলিশার নদীর পাড়ের ঝুপড়ি ঘরে নিজে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে দেন।
শুধু কি ইলিশায় ভোলার প্রতিটি গ্রামে আসহায়দের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া এ মানুষটিকে গ্রামের মানুষরা কেউ পুলিশ হিসেবে চিনে না। সবাই তাকে সরকার ভাই হিসেবে চিনে। ভোলায় যখন বাহিরের জেলার মানুষ গুলো নদীর স্রোতের মত ঢুকছিলো তখন পুলিশ সুপার একাই বাঁধার দেয়াল হয়ে দাড়িয়েছেন ইলিশা ও ভেদুরিয়া ঘাটে। আজও তিনি একাই লড়ে যাচ্ছেন ভোলার করোনা যুদ্ধে। আইন শৃঙ্খলার সাথে সাথে তাকে চাল চোরদের বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে। মনপুরা লালমোহন দৌলতখনের ৭ চাল চোরকে গ্রেফতার করেন তিনি। তাদের প্রত্যেককে রিমান্ডে নিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি করিয়েছেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। এছাড়া করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পাঠানোসহ নিয়মিত খোজ খবর নিচ্ছেন ভোলার এ পুলিশ সুপার। ভোলার সচেতন নাগরিক পরিষদের সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, যা করা দরকার আমাদের জেলা প্রশাসকসহ অনান্য কর্তা ব্যাক্তিদের তার সব করছেন আমাদের ভোলার মানবাতাবাদি পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। আমরা ভোলার সচেতন নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে এই মানুষটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশের বিপর্যয়ে সকল পুুুুলিশ সুপারদের ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই। তার সাথে সাথে ভোলায় যে হারে করোনা রুগী বাড়ছে তাতে করে শহরের চকবাজারসহ ভোলার বাজার গুলোতে এখনি নজরদারি না বাড়ালে বিপর্যয়ে পড়বে ভোলা। সফিকুল ইসলাম দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে করোনা পরিক্ষারও দাবি জানান।