সোহেল মাহমুদ,ভোলাঃ
ভরা মৌসুমে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে দেখা নেই ইলিশের। অসহায় হয়ে দারিদ্র জীবন যাপন করছে তরা। সামনে কোরবানীর ঈদ। জেলেদের গবাদী পশুদের দরকার টিকা। হাতে নেই টাকা। দুচিন্তা গ্রাস্থ্য হয়ে পরে তারা। আর এসব অসহায় জেলেদের হাত বাড়িয়ে দিলো একটি বেসরকারি প্রকল্প ইকোফিশ বাংলাদেশ। বিনামূল্যে জেলেদের গবাদী পশুদের টিকা ও চিকিৎসা দিচ্ছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের ৩ শ’ ও ২০০ শত’ ছাগলকে বিনামূল্যে টিকা ও চিকিৎসা প্রদান করে ওয়াল্ড ফিশের প্রকল্প ইকোফিশ বাংলাদেশে। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের লক্ষে টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে এ টিকা ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
ওয়ার্ল্ড ফিশের ভোলার রির্সাস এ্যাসোসিয়েড অংকুর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমরা সারা বছর জেলেদের নিয়ে কাজ করি। তাদের সুখে, দূখে পাশে থাকি। জেলেদের স্বাবলম্বী করারই আমাদের উর্দেশ্য। তিনি আরো বলেন, নদীতে যখন অভিযান থাকে ও নদীতে মাছ কম পরে সে সময় জেলেদের অনেক অভাব থাকে। আমরা জেলেদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের মাঝে বিনামূল্যে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীসহ বিভিন্ন সবজীর বীজ প্রদান করি। এতে তারা ওই সময়গুলোতে অভাবে পরে না।
ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্পের ভোলার সহ সমন্বকারী মোঃ সোহেল মাহমুদ বলেন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করারই আমাদের কাজ। আমরা এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের মাঝে বিনামূল্যে উপরণ দিয়ে যাচ্ছি। এতে অনেক জেলে উপকৃত হয়েছে। ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে অনেকের।
দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের গৃহবধূ নাহার বেগম (৩০) বলেন, আমার স্বামী ইউসুফ একজন জেলে। আমাদের কোন জমি-জমা নেই। নদীতে মাছ শিকার করে সংসার চলে আমাদের। মাছ না ধরতে পারলে এ সময় অনেক অভাবে থাকতে হতো আমাদের। এখন এ প্রকল্পের মাধ্যমে গরু ও ছাগল পেয়েছি। তা লালন পালন করে সংসারে বারতি আয় করছি। এখন অনেক ভাল আছি।
একই গ্রামের ফাতেমা বেগম বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের পাশে দাড়িয়েছে। আমরা এখন নদীর উপর শুধু নির্ভন করিনা। বিকল্প কাজ করে স্বামীর পাশাপাশি আয় করছি। সন্তানদের লেখা পড়াও ভাল ভাবে চলছে। নিজেরা অনেক ভাল আছি।
বিনামূল্যে টিকা ও চিকিৎসা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণী সম্পাদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আলী, দৌলতখান উপজেলার সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেনসহ প্রমূখ।
