অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোল না দিয়েই পারাপারের চেষ্টা করেছিল একটি গাড়ি। ভেতরে ছিলেন ভৈরব সার্কেল অফিসের এএসপি এএইচএম কামরুল ইসলাম। কিন্তু টাকা না দিয়ে গাড়ি পারাপারে রাজি ছিলেন না টোল প্লাজার লোকজন। আর এ জন্যই পিটুনি খেতে হয় তাদের।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সেতুর টোল প্লাজার ভৈরব প্রান্তে এই ঘটনা ঘটে। প্রাইভেটকারের মালিক ফারহান ও ভৈরব সার্কেল অফিসের এএসপি এএইচএম কামরুল ইসলাম এ ঘটনা ঘটান বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
পুলিশ কর্মকর্তা ও তার দল যাদের ওপর চড়াও হন তাদের মধ্যে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের সিকিউরিটি সুপারভাইজার আহমেদ আলী, টোল সুপারভাইজার নুর হোসেন ও টোল কালেক্টর মো. মুমিনসহ কর্তবরত পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর সিএনএম এর সিকিউরিটি সুপারভাইজার আহমেদ আলী জানান, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার সেতু পার হওয়ার জন্য আসে। পেছনে পুলিশের একটি পিকআপ ছিল।
কাউন্টারে এসে একজন গাড়িতে পুলিশের এএসপি বসে থাকার কথা বলে টোল না দিয়ে সেতু পার হতে চান। তবে কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মী টোল ছাড়া যেতে না দেয়ায় তারা টোল আদায়কারীদের উপর চড়াও হন।
এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন গাড়িতে থাকা লোকজন। এএসপি কামরুলও মারধরে যোগ দেন। ঘটনার পুরো ভিডিও সিটি টিভির ফুটেজে রয়েছে বলেও অভিযোগকারীরা জানান। পরে টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
টোল কালেক্টর মুমিন বলেন, “সাদা রঙের প্রাইভেটকার করে দুজন লোক টোল প্লাজা পার হচ্ছিল। টোল আদায়ের জন্য গাড়ি থামানো হলে ভেতর থেকে একজন বলেন, ‘পুলিশের গাড়ি টোল দেব কেন’। তারপরই আমি গাড়ির নাম্বার জানতে চাইলে তারা আমাকে গালাগাল দেয়।”
‘এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে আমাকে মারধর করে। গাড়ির ভেতরে থাকা দুজন তারা গাড়ি থেকে বের হয়ে অশালীন গালাগাল ও মারধর করে।’
এ ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব সার্কেল অফিসের এএসপি এএইচএম কামরুল হাসান প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি কোন লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২১অক্টোবর-২০১৮ইং)