ভোলার ভেদুরিয়া ফেরী ঘাটে অতিরিক্ত চাঁদার টাকা উত্তলনে বাঁধা দেওয়ায় বসত ঘরে হামল ও ভাংচুর
আমজাদ/বিপ্লব রায়
ভোলা-বরিশাল ভেদুরিয়া ফেরী ঘাটে ট্রাংক-লড়ী থেকে অতিরিক্ত চাঁদার টাকা উত্তলনে বাঁধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরসহ মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৩/০২/২০ ইং তারিখ রবিবার বিকাল আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটের সময় ভোলা-বরিশালের ভেদুরিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে জানিয়েছেন প্রতক্ষদর্শিরা।
আহত আলমঙ্গীর জানায়, আমি দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল বিভাগিয় ট্রাংক – লরী শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ভোলা জেলা কমিটির সদস্য এবং ভেদুরিয়া ঘাট সিরিয়াল ম্যান হিসাবে কর্মরত আছি এবং কাজ করছি।
ভেদুরিয়া ফেরীঘাটে ট্রাংক-লড়ী থেকে সমিতির কল্যান ফান্ডের জন্য চাঁদা উত্তলের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছি।
আলমগীর বলেন, প্রায় এক বছর পূর্বে ভেদুরিয়া ফেরী ঘাটে ঘাট ইজারাদারের পক্ষে ইউপি আওয়ামিলীগের সম্পাদক জহির দ্বায়িত্ব নিয়ে ট্রাংক-লড়ী থেকে সরকার নির্ধারিত ৬০ টাকার পরিবর্তে কোন ধরনের রশিদ ছাড়াই অতিরিক্ত চাঁদা হিসাবে ২০০/৩০০ টাকা করে উত্তলন করে আসছিলো।
প্রতি বছর অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ে জহির বাহিনীর বিরুদ্ধে ফুসে উঠছিলো ট্রাংক-লড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন।
তাই আলমঙ্গীর জানান, সমিতির নির্দেশে ট্রাংক-লড়ী থেকে অতিরিক্ত চাঁদা উত্তলনে বাঁধা দিলে জহির পর্যায়ক্রমে আমার নামে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকর হয়রানি করে।
আলমলগীর আরো জানান, কয়েকবার ফেরী ঘাটে প্রকার্শ্যে আমাকে মারতে জহির ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
আমাকে ঘাটে মারতে আসলে আমার মা আমার মারার খবর শুনে বাসা থেকে বের হয়ে ফেরিঘাটে আসলে এবং আমার মাকে পিটিয়ে অাহত করে জহির বাহিনীর সদস্যরা।
তখন স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে।
আলমগীরের বাবা জানান, সেই চাঁদা উত্তলনকে কেন্দ্র করে বিকাল সারে ৪ টার সময় হঠাৎ জহিরের বাহিনী আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।
ফেরি ঘাটে থাকা প্রদক্ষদর্শি রহিম জানান, এসময় আলমঙ্গীরের ঘরে ইট পাটকেল মেরে ঘরের কাচের জানালা গুলো ভেঙ্গে ফেলে এবং আলমঙ্গীরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকার চেষ্টা করে।
আলমঙ্গীরকে বাঁচাতে আলমঙ্গীরের বৃদ্ধ মা – বাবা এবং স্ত্রী সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে তান্ডব লিলা চালায় বসত ঘর ভাংচুর করে।
সমিতির ভোলা জেলা সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন জানায়, সন্ত্রাসীরা ঘাটের ইজারাদারের দায়িত্ব নিয়ে তাদের ট্রাংক-লড়ী থেকে জোর করে অতিরিক্তি চাঁদা আদায় করতেছিলো। অতিরিক্ত চাঁদা না নেওয়ার জন্য আমারা অনেকবার তাদেরকে নিষেধ করেছি কিন্তু তারা স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছে।
সমিতির কর্মরত আলমঙ্গীর বাধা দেওয়ায় ধাপে ধাপে কয়েকবার তার উপর হামলা চালায় এবং তার রিরুদ্ধেই বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেননী বলে যানান সমিতির সম্পাদক ও ভুক্তভোগি পরিবার।
এদিকে জহিরের সাথে কয়েক বার যোগাযোগ করার চেস্টা করার করেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেকর সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধিদের বিচার দাবি করেছে ভুক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসি এবং সুশীল সমাজের বর্গরা।