নিজস্ব প্রতিনিধি ।। ভোলার ভন্ড খোদার লালসার খুদা মেটাতে মুরিদদের ১৩ বছরের শিশু সন্তানই বেশি পছন্দ মজিদের। তাই ভোলার বাহিরের মুরিদরাও ভন্ড খোদার পাপের রোশানল থেকে বাচতে বাদ্য হয়ে নিজের শিশু সন্তানকে ভন্ড খোদার ভোগে উৎসর্গ করেন। প্রায় প্রতিটি মুরিদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সুন্দরী শিশু সন্তানদের ভোগের সামগ্রি বানান কথিত কালেমার জামায়াত নেতা চরফ্যাশনের ভন্ড মজিদ। প্রশাসনের লোক ও চরফ্যাশন উপজেলার মোড়ল মাতাব্বরদের ম্যানেজ করেই অবলিলায় চালিয়ে যাচ্ছেন তার ভোগের রঙ্গশালা। দিনের পর দিন শিশু নির্যাতন হলেও কোন মুরিদ ই ভয়ে মুখ খোলেননা প্রশাসনের কাছে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে রাষ্ট্রীয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভন্ড মজিদ একের পর এক ধর্ষণের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। সিরিজ বোমা হামলা মামলার চার্জশিট ভুক্ত অন্যতম আসামি ছিল খোদার দাবিদার কালেমার জামাত নেতা এই মজিদ প্রফেসর। ভন্ড মজিদের অস্তানায় প্রবেশে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় বেধ করে সাধারনতো দুরের কথা পুলিশ প্রশাসননের লোকদেরও সেখানে পৌঁছানো অনেক কঠিন সাধ্য ব্যাপার। এতো কঠোর গোপনিয়তা বেধ করে আমরা তার লালশার স্বীকার কয়েক জনের নাম বের করতে পারলেও অনেকের নাম এখনো অজানাই রয়েগেছে। ভোগের স্বীকার হওয়া নাম পাওয়া কয়েক জন শিশুর মধ্যে রয়েছ,কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জের ওসমান ওরফে রুবেল মিয়ার মেয়ে আয়েশা ওরফে সুফিয়া আক্তার বর্তমান বয়স ১৬ হলেও বিবাহের সময় তাহার বয়স ছিল ১৩ বছর। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আব্দুল মালেকের মেয়েরুবাইয়া, তার বয়স ও ১৫ বছরের কম। নেত্রকোনার আব্বাস উদ্দিনেরর মেয়ে সাদিয়া যার বর্তমান বয়স ১৬ বছর। ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে রাজিয়া যার কর্তমান বয়স ১৫ বছরের কম।ঠাকুরগাঁও এর মেয়ে রহিমা তার বয়স ও ১৫ বছরের কম। আইনি জটিলতায় পরে ভন্ড মজিদের বিবাহের সংখ্যা প্রায় ডজন খানেকের কথা অনুসন্ধানে জানাগেলেও। কথিত মসজিদের মুয়াজ্জিন দ্ধারা শরআর নামে পড়ানো বিয়ের সংখ্যার সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে বহু বছর আগেই। এসব শিশুদের বন্ড মজিদের ভোগ শেষ হয়ে গেলে বাই রোটেশনে মুরিদের কাছে বিয়ের নজিরও রয়েছে।মজিদেে ডেরা থেকে জীবন বাচাতে পালানো আয়শার বাবার মামলা থেকে বেরিয়ে আসে ভন্ড মজিদের অপকর্মের লোমহর্ষক কাহিনী।আয়েশা ওরফে সুফিয়া আক্তার এর বাবা ওসমান ওরফে রুবেল মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানায়২০২২ সালের ২ জুলাই তার মেয়ে নিখোজ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করে ডায়েরি করেন যার নাম্বার ৫৬ /২২। পরবর্তীতে ভিকটিম উদ্ধারের পর আয়শা ওরফে সুফিয়া আক্তার নিজেই বাদী হয়ে ৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং ০৬ কিশোরগঞ্জে ভন্ড মজিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যার সি আর /মামলা নং-১/ ২২। চলমান এই মামলাটি প্রত্যাহার করতে ভন্ড মজিদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ভীকটিম ও তার পরিবারকে চাপসহ আদালতে নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন।ভন্ড মজিদের পাহাড় পরিমাণ সম্পদ ও ক্ষমতার উৎসে একের পর এক অপকর্ম করেও রেহায় পেয়ে যাচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন ভুক্ত ভুগি শিশুর অভিবাবকরা। তাদের দাবী ভন্ড এই প্রতারককে গ্রেফতার করে রাষ্ট্রীয় আইনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে প্রকাশ্যে স্বঘোষিত খোদার দাবিদার এই মজিদ প্রফেসরের সকল ভন্ডামি ও অপরাদ জগতের লোমহর্ষক কাহিনীর বর্ণনা।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান