আর তাই যদি সমস্যা থাকে বাড়ির অন্দরেই তাহলে কিন্তু প্রথম থেকে সাবধানে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে বেশ কিছু পরিবর্তন। কারণ উচ্চরক্তচাপ থাকলেই সেখান থেকে আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। জটিল হতে পারে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকিও।
পরিবারগত কারণেও কিন্তু একাধিক সমস্যা আসে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা চলতেই থাকে। এই সমস্যার মধ্যে কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিসসহ আরও একাধিক সমস্যা থাকে। অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলেও কিন্তু আসতে পারে হাইপারটেনশন। আজকাল প্রতিদিনের জীবনযাত্রা আগের থেকে অনেক বেশি জটিল। ফলে প্রথম থেকেই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
চিকিত্সকদের মতে, জীবনযাত্রায় এবং খাদ্যতালিকায় সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারলে ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক-
১) উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমেই লবণ খাওয়া কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত লবণ রক্তে মিশে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যাও। তাই রান্নায় ছাড়া কাঁচা লবণ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে, রান্নাতেও কম লবণ দিন।
২) কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনের যে কোনও সময়, সারাদিনে অন্তত একটা কলা খাবার চেষ্টা করুন।
৩) হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধু অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ১ কাপ উষ্ণ পানিতে ১ চামচ মধুর সঙ্গে ৮-১০ ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খেতে পারলে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
৪) পুষ্টিবিদদের মতে, কমলালেবুর রসের সঙ্গে ডাবের পানি মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে পারলে রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৫) উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশি করে সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। সবজি শরীরে ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে