সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী কাজে জড়িত ভোলা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক

বিপ্লব রায়ঃ-
ভোলা শহরের প্রান কেন্দ্রে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ভোলার অতিপরিচিত এ বিদ্যালয়টির বর্তমানে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বিরুদ্ধে রয়েছে কোচিং বানিজ্যের পৃষ্ঠোপোষকতা, সরকারি নিয়ম নীতিমালা না মানাসহ নানা অনিয়মের সাথে জাড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।।

নীতিমালা সরকারি বেতনভূক্ত শিক্ষক নিজ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীদের পড়ানো সুযোগ নেই অথচ সেখানে প্রকাশ্য কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন,ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় শিক্ষকবৃন্দ।

এমনকি সরকারি কোয়ার্টার ও সরকারি ক্যাম্পসকে ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছেে লাখ লাখ টাকা,এসব বে আইনি কাজের পর্দার অন্তরালে প্রধান আছে বলে ধারনা করছেন কিছু সচেতন অভিভাবকবৃন্দ। এ ধরনের বে আইনি কাজে প্রধান শিক্ষকেের কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি।

এবছর এস এস সি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপ করতে টেষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অবশ্যকের বিষয়টি সরকারি নীতিমালায় থাকলেও, নিয়মনীতি মালা পরিপন্থী হয়ে ২২৫ শিক্ষর্থীর মধ্যে ২২৫ শিক্ষার্থীকে ফরমপূরন করেছে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন।

এস এস সি নির্বাচনী পরীক্ষায় মাত্র ৭৩ জন শিক্ষর্থী পাশ করলেও সকল শিক্ষার্থীদের ফরম পূরন করা হয়, যা সম্পূর্ণ বে আইনি ও নীতিমালা পরিপন্থী।

বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান ৬ থেকে ৭ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদেরও ফরমপূরনের বিষয়টি হতাশাজনক এতে করে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে। আরো জানান, প্রধান শিক্ষক বেশির ভাগ কর্মদিবসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টিও অতি আপত্তিকর। আমরা বিভিন্ন সময় অফিসের কাজে আসলে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায় না।

অভিভাবকগন আরো জানান,উৎস পাল, দিবা শাখার একজন শিক্ষার্থী টেষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নাই,তবুও তার ফরমফিলাম করেন প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার,বিষটি অতি হতাশা জনক।

মোবাইল ফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না,পরক্ষণেই তার মুখমুখি হলে তিনি নানা অযুহাতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের তথ্য দিতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান, তিনি বলেল এ বিষয়ে আপনারা শ্রেনী শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করুন।

সাংবাদিকরা শ্রেনী শিক্ষক জামাল উদ্দিন ও নাজমুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ৪.৫.৬ বিষয়ে অকৃতকার্য সকল শিক্ষার্থী আমরা ফরমফিলাপ করেছি প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা,তবে তা বেআইনি ও নীতিমালা পরিপন্থী।

বিষয়টি নিয়ে এডিসি(শিক্ষা) কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারি চাকুরীরত কেউ সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী কোন কাজ করা সম্পূর্ণ বে-আইনি। এ বিষয়ে আমি ডিসি মহোদয়কে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

উল্ল্যখ ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি ফলাফলে এমন বিপর্যয় এর আগে কখনো হয়নি বলে জানা যায়।

SHARE