মোঃ ইমরান হুসাইন(মুন্না)
সকালে জামিন খারিজ বিকেলে বিচারক প্রত্যাহার। অতঃপর সেই আদালতেই মিললো আসামির মুক্তি। এ ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুর জেলা আদালতে। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা তিন মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রীর দুর্নীতির মামলায় ঘটেছে এ তুঘলকি কাণ্ড।
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পৃথকভাবে তিনটি মামলা করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর।
সেই মামলায় উচ্চ আদালতের ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হন তারা। পুনরায় করেন জামিন আবেদন।
এ সময় বিচারক মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ রায় ঘোষণার পর আদালত পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
জামিন নাকচের পরপরই স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয় জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে। এর পাঁচ ঘণ্টা পর ভারপ্রাপ্ত জেলা জজের দায়িত্ব দেয়া হয় নাহিদ নাসরিনকে। সাথে সাথেই আউয়াল দম্পতিকে জামিন দেন তিনি।
দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, এভাবে দুর্নীতির মামলায় জামিন দেয়া কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি।
দুর্নীতি মামলায় এত দ্রুত বিচারক পরিবর্তন করে জামিন দেয়ার ঘটনায় গোটা পিরোজপুরে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।