নতুন আদমশুমারি না হওয়ায় সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তনের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। দলটি নির্বাচনের আগে সীমানায় বড় পরিবর্তন চায় না। এখন বড় পরিবর্তন আনলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা উচ্চ আদালতে চলে যাবেন বলে মনে করে ক্ষমতাসীন দলটি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন ভবনে গিয়ে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে তারা এই মনোভাবটি ইসিকে জানিয়েছে। বৈঠক শেষে এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাংসদদের প্রচার ও স্বাভাবিক কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং আচরণবিধি যাতে নির্বাচনের বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে বিষয়টি বিবেচনার জন্য ইসিকে আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
ইসি ইতিমধ্যে ৪০টি আসনে পরিবর্তন এনে সংসদীয় আসনের খসড়া প্রকাশ করেছে। খসড়া নিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সাংসদের আপত্তি আছে। ২১ এপ্রিল থেকে দাবি-আপত্তি নিয়ে শুনানি শুরু হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার ইসিতে গেল আওয়ামী লীগ।
এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে কমিশন যে প্রস্তাব করেছে, তার মধ্যে বেশ কটি গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। অনেক জায়গায় জনগণের আপত্তি আছে। অনেক জায়গায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। কোনো কোনো জায়গায় নির্বাচনী এলাকা ছিল, সেই নির্বাচনী এলাকাটি নেই। নতুন এলাকা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী এই কাজটি নির্বাচন কমিশন করতে পারে না। সংলাপেও সীমানা নির্ধারণ এবং আইন ও বিধিতে বড় ধরনের পরিবর্তন না আনার প্রস্তাব দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেটা আবার বলা হয়েছে।
এইচ টি ইমাম বলেন, গত কিছুদিন থেকে গণমাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধন নিয়ে তাঁরা প্রতিবেদন দেখছেন। নির্বাচন আচরণবিধি নিয়ে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, আচরণবিধি যাতে এমন হয়ে না দাঁড়ায় যে নির্বাচনে বাধার সৃষ্টি করে। ইসি বলেছে, বিষয়গুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করবে।
এইচ টি ইমাম বলেন, যেসব সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে সেখানকার সাংসদেরা আচরণবিধির কারণে সেখানে যেতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। এমপিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে সরকারি কার্যক্রম অচল হয়ে যাবে। বাস্তবসম্মত সংশোধনী যেন হয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়ার বিষয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরই পরবর্তী নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী একজন দলনেতা। প্রধানমন্ত্রীর সফরে বিভাজন আছে। তিনি সরকারি কার্যক্রম ও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে ভিন্নভাবে আলোচনা করেন। পরে তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। দলের প্রধান হিসেবে ভাষণ দেন। ওই অংশটুকু পুরোই দলীয়, সেখানে সরকারের সম্পৃক্ততা থাকে না। সরকারি কর্মকর্তারা সেখানে যান না। মঞ্চ নির্মাণসহ সব খরচ দলীয়ভাবে বহন করা হয়। স্বাভাবিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেবেই।