শাস্তির বিধান রেখে বিএসটিআই আইনের খসড়া অনুমোদন

অণলাইন ডেস্ক:- ভোলানিউজ.কম,

‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি ১৯৮৫ সালের একটি অধ্যাদেশ আকারে ছিল। এখন সংশোধন করে নতুন আইনে আনা হয়েছে। এখানে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। তবে শাস্তিগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইনে ২৭ ধারায় লাইসেন্স ব্যতিরেকে ষ্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে পূর্বের আইনে এ শাস্তি ছিল অনূর্ধ ৬ মাস এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা। এখন শাস্তির পরিমান বাড়িয়ে কারাদণ্ড করা হয়েছে ২ বছর আর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে অনূর্ধ ২ লাখ টাকা। তবে এ আর্থিক শাস্তি ২৫ হাজার টাকার নিচে নয়।

তিনি বলেন, এ আইনে কতিপয় নাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনে ষ্ট্যান্ডার্ড মার্ক বলতে বাটখারা বা চিহ্নকে বুঝানো হয়েছে। এটা অবশ্যই লাইসেন্স ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শফিউল আলম বলেন, এ আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য রপ্তানিতে শর্ত লঙ্ঘন করলে শাস্তি অর্থদণ্ডসহ এক বছর বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য রপ্তানি সংক্রান্ত যে শর্ত আছে সেই শর্ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে এ আইনে মূল অপরাধ। এ অপরাধ আগেও এক বছর ছিল। তবে অর্থদণ্ড ছিল না। এখন তা নির্ধারিত করে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ আইনে ২১ ধারায় বলা হয়েছে কতিপয় পণ্য বিক্রয় বিপণন, বিতরণ বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করলে শাস্তি হবে ৪ বছর। আর অর্থদণ্ড হবে অনধিক ২ লাখ টাকা, তবে ৫০ হাজার টাকার নিন্মে নয় বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

‘আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে কোনও ধারায় যদি অপরাধের ধরণ ফেলা না যায় তাহলে এক লাখ টাকা সর্বোচ্চ জরিমানা ও সর্বনিন্ম ২৫ হাজার টাকা। এখানে কোনও জেলের বিধান নেই।

‘৩২ ধারায় বলা হয়েছে একই অপরাধ যদি দ্বিতীয়বার করে তাহলে তার শাস্তি সংশ্লিষ্ট ধারায় দ্বিগুন হবে। যদি কেউ এমন শাস্তিতে সংক্ষুব্ধ হোন তাহলে তিনি নির্ধারিত ফিস পরিশোধ পূর্বক সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় পাট নীতি ২০১৮ নামে নতুন পরিমার্জিত আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মানসম্মত পাট উৎপাদন, পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, পাট পণ্যের বহুমুখিকরন, পাটকল সমূহের আধুনিকায়ন ও পাট পণ্যের সম্প্রসারণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এ আইনে।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৮মে-২০১৮ইং)

SHARE