টিপু সুলতান
লালমেহনে থামছেইনা চাল চুরির ঘটনা। গজরিয়ার পর এবার ফরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৮ বস্তা চাল। এমপি শাওন নিজে গিয়ে এই চাল উদ্ধার করেন। এসময় চোরের কাছ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪টি কার্ডও উদ্ধার করা হয়। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ওই এলাকার দায়িত্বরত এজেন্ট জুয়েলকে বাচিয়ে দেয়ার ফের অভিযোগ উঠেছে ইউএনও হাবিবুল হাসান রুমীর বিরুদ্ধে।
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার সামছুদ্দিন নামের এক ব্যাবসায়ীর বসত ঘর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৭মে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহেষখালী গ্রামের মালেগো বাড়ির সামছুদ্দিনের ঘর থেকে এসব চালের বস্তা উদ্ধার করেন ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমিকে খবর দিলে তিনি চালগুলো জব্দ করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যাবসায়ী সামছুদ্দিনকে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। এসময় সামছুদ্দিনের কাছে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪টি কার্ড পাওয়া যায়। তবে ওই ওএমএস এর এজেন্ট জুয়েলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা কিম্বা তদন্তের ব্যাবস্থা করা হয়নি।
লালমোহন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির চাল জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এব্যাপারে এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনসাংবাদিকদের বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার লালমোহন-তজুমদ্দিনের কেউ যদি অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে, সে যে দলেরই হোক ছাড় দেয়া হবে না। কোনো অপরাধকেই সমর্থন করতে নেই। যে অপরাধ করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমপি শাওন করোনা দুর্যোগের প্রথম থেকে তার নির্বাচনি এলাকায় একাই লড়ে যাচ্ছেন। দিনরাত পরিশ্রম করে লালমোহন তজিমুদ্দিনকে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু কিছু কুচক্রি মহল পরিকল্পিত ভাবে চাল চুরির ঘটনা ঘটিয়ে তার বদনাম করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলেও অভিযোগে করেছেন লালমোহনের সুসীল সমাজ। তবে চাল চোরদের মূল হোতাকে আইনের আওতায় না এনে মামলা থেকে বাচিয়ে দেয়ায় বারবার এধরনের চাল চুরির ঘটনা ঘটছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, মোবাইল কোটের মাধ্যমে সামছুদ্দিনকে একমাসের জেল দিলেও ওএমএস এর ডিলারকে মামলা থেকে বাচিয়ে দেয়া অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।