অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
ঠাকুরগাঁওয়ে ইয়াবা কারবারি সন্দেহে আটকের পর গভীর রাতে র্যাবের গাড়ি থেকে পালিয়ে যান একজন যুবক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য তাকে আটক করতে সক্ষম হয় বাহিনীটি।
পরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়। আর পুলিশ আদালতে নিলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। আটক যুবকের নাম মামুন। মাদকের বিরুদ্ধে র্যাব-পুলিশের সাড়াঁশি অভিযানের মধ্যে এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের তৈরি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও র্যাবের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে র্যাব-১৩ এর একটি দল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে মামুনকে আটক করে। তখন তার কাছে ১৫০ টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
সেখান থেকে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নীলফামারী নিয়ে যায় র্যাব। আর শনিবার রাত তিনটার সময় র্যাব তাকে নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী ফিরছিল র্যাব। পথে মথুরাপুর এলাকায় চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান মামুন।
এরপর র্যাব বালিয়াডাঙ্গীর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ফিরে এসে মামুনের বাবা সলিমুল্লাহকে আটক করে। পরে বাবা, মা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইসরাইল হোসেনের সহযোগিতায় মামুনের স্বজনদের বাড়িতে রবিবার অভিযান চালায় র্যাব। সন্ধ্যায় তাকে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় খালু শ্বশুরের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
সোমবার ভোরে মামুনকে বালিয়াডাঙ্গী থানায় হস্তান্তর করে একটি মামলা করা হয়। আর তাকে ঠাকুরগাঁও আদালতে তোলে পুলিশ।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম সাজেদুল ইসলাম জানান, মামুনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গত ৪ মে মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযান শুরুর পর থেকে গত চার দিন ১৯ জন ‘মাদক কারবারি’ পুলিশ অথবা র্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এর প্রতিটির বর্ণনাই মোটামুটি একই রকম।
বর্ণনা অনুযায়ী রাতে আটকদেরকে নিয়ে অভিযানে বের হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর এক পর্যায়ে সহযোগীরা আক্রমণ করে বাহিনীর ওপর। দুই পক্ষের গোলগুলির ফাঁকে পরে মারা যান সন্দেহভাজন মাদক কারবারি।
এর মধ্যে গত রাতেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিহত হয়েছেন নয় জন। তার আগের রাতে নিহত হন চার জন।
আগের দুই দিন বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার দিবাগত রাতে তিন জন করে নিহত হয়েছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে। এদের সবাইকে মাদকের কারবারি বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৩মে-২০১৮ইং)