মনির আহাম্মেদঃ-
বরগুনা শহরের কলেজ রোডে বুধবার প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা যে দলেরেই হোক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সসদস্যরা অত্যন্ত দক্ষ। আমাদের নজর এড়িয়ে কেউ পার পায়নি। রিফাত শরিফ হত্যায় যারা জড়িত, তাদের অধিকাংশই ধরা পড়েছে। বাকি যে কয়েকজন আছে, তারা অচিরেই ধরা পড়বে, এটা নিশ্চচিত থাকুন।
শুক্রবার পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ফেনীর মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাতেও আমি বলেছি, আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। সেখানে দেখেছেন, আমাদের দলের যারা ওই ঘটনায় জড়িত ছিল, তাদেরও আমরা ছাড় দিইনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন। তাই আপনারা যারা সন্দেহ করছেন, আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে, আপনাদের এই ধারণা ভুল।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৩ জনকে শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
এর আগে, বুধবার (২৬ জুন) সকালে বরগুনা কলেজের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনেই তার স্বামী রিফাত শরীফকে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন নয়ন বন্ডসহ তার সহযোগীরা। মিন্নি চেষ্টা করেও তাদের নিবৃত করতে পারেননি। পরে রিফাতকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। গণমাধ্যমগুলোতেও উঠে আসে এ খবর। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) উচ্চ আদালত এ ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, এতগুলো মানুষ দেখলেন, কেউ প্রতিবাদ করলেন না, সমাজ কোন দিকে যাচ্ছে?
এদিকে, রিফাত হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।