বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলার রাজনিতির উদীয়মান নক্ষত্র। তরুনদের আইকন আন্দালিভ রহমান পার্থ। সম্প্রতি তিনি লন্ডন সফরে রয়েছেন। সেখানেও তিনি টিভি চ্যানেল গুলোর সাথে বাংলাদেশের রাজনীতির শুদ্ধি অভিযান নিয়ে কথা বলছেন। যা এখন অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল। লন্ডনের প্রবাস বাংলায় তিনি বাংলাদেশের সম্প্রতি সময়ের আলোচিত নাম রাব্বানি সম্রাটদের নির্দোষ বলেই ক্ষান্ত হননি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিভাবে দুধে ধোয়া।
প্রবাস বাংলায় আন্দালিভের বলা পুরো কথা গুলো ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো……
আমি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত শোভন-রাব্বানী এই দুজনের তেমন কোনো দোষই দেখি না।
পার্থ বলেন, শোভন-রাব্বানী ৮০ বা ৮৫ কোটি টাকা ঘুষ খেয়েছেন কিন্তু এতে সমস্যাটা কোথায় তারা তো কোন সিস্টেম এর বাহিরে নয় তারা দেখেছেন যে ৭ হাজার কোটি টাকা বেশি খেয়ে ফেলেছেন এক লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। মুজিব কোট আগে বসে টেইলার্সে বানানা তো এখন দেখা যাচ্ছে সেটা ব্রিয়নি বা আরমানি বানাচ্ছে মহাসচিব এর হাতে রোলেক্স ঘড়ি। সবার লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। মহিউদ্দিন-খান-আলমগীর ব্যাংক খেয়ে ফেলেছে ও গাড়ি নিয়ে গেছে লুট করেছে তাহলে ওদের দোষটা কোথায়। পার্থ’র মতে এটা সিস্টেমেরই একটি অংশ।
পার্থ আরও বলেন, এখন ডিফেন্ড করে আপনার আদর্শ কি বঙ্গবন্ধু। নাকি নামে আদর্শ এই ধরনের পুঁজিবাদী বা এই ধরনের ব্যাক পলিটিক্স করা আওয়ামীলীগারা বা মন্ত্রীরা।
এরা এই কারণেই বলছেন এটা তাদের ন্যায্য প্রাপ্য।
ক্যাসিনো অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, এই ক্যাসিনো শুদ্ধি অভিযান তো অনেক দিন থেকেই চলছে প্রায় ৮থেকে ৯ বছর। এ গুলো যারা করেছে এর মাঝে সম্রাটের নাম আছে অনেকের নাম আসছে কিন্তু এরা তো ফাওয়ার প্লান্টের ক্যাপাসিটি মতেো চালক নয় যে ৮ বা ১০হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে বিলিয়োনিয়ার হবে। এরা পারে লোকাল ব্যবসা করতে। এ জন্য এরা এটাই চিন্তা করে।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, কুমির মারার জন্য নদী সেচ করলে সেখানে ছোট মাছ মরে যাবে, কারণ কুমির তো ডাঙাতেও থাকে। সেরকম বড় দুর্নীতিবাজরা ডাঙায় ঠিকই নিরাপদে থেকে যাচ্ছেন।
এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফেরার কথা রয়েছে এ তারুন্যের প্রতিক এর।